দিল্লির বর্ধমান মহাবীর মেডিক্যাল কলেজ এবং সফদরজং হাসপাতালের পালমোনারি ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান নীরজকুমার গুপ্ত জানিয়েছেন, ‘‘ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিনে একটি মিউটেশন আছে৷ ফলে এটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে৷ কিন্তু কিছু কারণের জন্য এর ক্ষতি করার প্রবণতা কমে গিয়েছে৷’’
আরও পড়ুন : শীতেও জলশূন্য হয়ে পড়ে শরীর, এখনই সতর্ক হোন এই লক্ষণগুলিতে
advertisement
তিনি আরও জানিয়েছেন ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে৷ অন্যান্য ভ্যারিয়্যান্টের তুলনায় এতে মৃত্যুর হারও অনেক কম৷ অর্থাৎ, দেখা যাচ্ছে করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়্যান্টের মতো ওমিক্রন অতটা ক্ষতিকর নয়৷
আরও পড়ুন : বর্ষবরণের পার্টিতে যাচ্ছেন? ভুলেও এই ভুলগুলো করবেন না যেন
‘‘ আমরা দেখছি যে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে চিকিৎসা হলে তাঁদের আইসিইউ ওয়ার্ড বা অক্সিজেন সিলিন্ডারের দরকার পড়ছে না৷ এই রোগীদের মধ্যে অক্সিজেন মাত্রা নেমে যাওয়ার ঘটনা এখনও সামনে আসেনি৷ জীবাণু ফুসফুসে পৌঁছলে বা ফুসফুসের কোনও ক্ষতি করলে তখনই অক্সিজেনের মাত্রা নেমে যায়৷ তাই আমরা বলতে পারি ফুসফুস অবধি ওমিক্রন পৌঁছচ্ছে না বা ফুসফুসের ক্ষতি করার মতো ক্ষমতা এই ভ্যারিয়্যান্টের নেই৷ এটা অনেক বেশি সংক্রামক কিন্তু কম ক্ষতিকর৷’’ বেছেন চিকিৎসক নীরজকুমার৷
আরও পড়ুন : বর্ষবরণের পার্টির হ্যাংওভার কাটিয়ে ফেলুন এই সহজ ঘরোয়া উপায়ে
তাঁর কথায়, তথ্য বলছে টিকাকরণের গভীর প্রভাব পড়েছে ওমিক্রনের উপর৷ কোভিড-১৯-এর টিকা একটা কারণ হতে পারে যার জন্য ফুসফুসের উপর ওমিক্রন প্রভাব ফেলতে পারছে না৷ টিকা নিয়েছেন এমন ব্যক্তির ওমিক্রন হচ্ছে৷ কিন্তু তাঁদের কোনও ক্ষতি করতে পারছে না ওমিক্রন৷ কারণ এই জীবাণুর তীব্রতা দ্রুত কমে যায়৷ বলেছেন চিকিৎসক গুপ্তা৷
বুধবার গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ১৫৪ টি নতুন কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে ভারতে৷ তার মধ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত ৯৬১ জন৷ এর মধ্যে দিল্লিতে ২৬৩ এবং মহারাষ্ট্রে ২৫২ জন ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে৷