ইউটিউবার ঐশ্বর্যর দাবি, তিনি তাঁর মায়ের সাহায্য নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন ৷ কিন্তু বাকি ইউটিউবারদের অভিযোগ, ঐশ্বর্য তাঁর দিদি এবং সেলেব্রিটি জামাইবাবুর সাহায্যেই জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছেন ৷ তাঁরা না থাকলে আদতে ঐশ্বর্য কিছুই করে উঠতে পারতেন না ৷ বক্তব্য বাকি ইউটিউবারদের ৷ এই সমালোচনা নিতে পারছেন না এই কিশোরী ৷ তাঁর বক্তব্য, বাড়ির কোনও অনুষ্ঠানে ব্লগ তৈরি করলে তাঁর দিদি ও জামাইবাবু তো থাকবেনই ৷ তিনি কি তাঁদের আসতে নিষেধ করে দেবেন ? প্রশ্ন ঐশ্বর্যর ৷
advertisement
সামাজিক মাধ্যমে একদিকে যেমন প্রশংসা আসবে, তেমনই অন্যদিকে ধেয়ে আসবে সমালোচনাও ৷ বলছেন শ্রীময়ী ৷ সেটাই হয়তো ইউটিউবার ঐশ্বর্য মেনে নিতে পারছেন না ৷ বা, প্রশংসার মতো সমালোচনা সহ্য করার মতো মানসিকতা তাঁর তৈরি হয়নি ৷ ফলে তিনি সাহায্য চাইছেন ৷ কোনও বন্ধু, এমনকি পুলিশের কাছেও হয়তো তিনি সাহায্যই খুঁজছেন ৷ ধারণা শ্রীময়ীর ৷ তাঁর সমস্যাকে সহমর্মিতার চোখেই দেখতে হবে বলে মত এই মনোবিদের ৷ তাঁর পরামর্শ, প্রশংসার মতো সমালোচনাকেও সহ্য করতে হবে ৷ তার জন্য দরকার মানসিক প্রস্তুতি ৷ সেই ক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাস আসবে নিজেকে ভাল করে চিনলেই ৷ নিজেকে স্বচ্ছভাবে জানলে, নিজের কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকলে কোনও সমালোচনাই কাউকে বিদ্ধ করতে পারবে না ৷ তখন মনে হবে না যে আত্মহননই একমাত্র পথ ৷
মনোবিদ শ্রীময়ী তরফদার
আরও পড়ুন : 'আমার কোনও যোগ্যতা নেই', আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ইউটিউবার
আরও পড়ুন : অফিসের কাজের চাপে বিপর্যস্ত দাম্পত্য? স্ট্রেস পেরিয়ে বাঁচিয়ে তুলুন বিয়েকে
নেটিজেন ও ইউটিউবাররা সকলেই হয়তো কিশোরীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেননি ৷ বলতে চেয়েছেন কনটেন্ট নিয়ে ৷ কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে তাঁর মনে হচ্ছে এ সব আক্রমণই আদতে ব্যক্তিগত আক্রমণ ৷ তবে সব কিছুর তুলনায় বড় করে দেখতে হবে ইউটিউবারের সাহায্যপ্রার্থী হয়ে আর্তিকে ৷ এই ‘ক্রাই ফর হেল্প’ পেরিয়ে আসতে তাঁর প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্য ৷ বলছেন শ্রীময়ী ৷ কিশোরীর মানসিক গঠন সেভাবেই তৈরি হতে হবে যাতে কেউ প্রশংসা করলেই যেন তিনি পাহাড়ের শীর্ষবিন্দুতে উঠে না পড়েন ৷ আবার কারওর সমালোচনাতেই যেন পাহাড় থেকে নীচে পড়ে না যান ৷ সর্বোপরি নিজের দক্ষতাই শেষ কথা ৷ এমনভাবে, এমন জায়গায় নিজের কাজকে নিয়ে যেতে হবে যাতে দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই না ৷ এবং মনে রাখতে হবে সোশ্যাল দুনিয়া এমন একটা জায়গা যেখানে প্রশংসা ও সমালোচনা দুই-ই খুব সহজে পাওয়া যায় ৷ তাই নিজেকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে ‘ক্রেজ’ বা ‘ক্রিটিসিজম’ কোনও কিছুতেই আমি ভেসে না যাই ৷ মত মনোবিদ শ্রীময়ীর৷