ইতিমধ্যেই একাধিক রোগী এই ওষুধের সুফল পেতে শুরু করেছেন। গিরিধারী বালি নামে এক সুস্থ হয়ে ওঠা রোগী বলেছেন, 'এর আগে অনেক চিকিৎসা করিয়েছি। কিছুই হচ্ছে না। এখান থেকে তেল নিয়ে শ্যাম্পু দিয়ে প্রথমে মাথায় লাগাই। ওই তেলটা ব্যবহার করার পরই সোরিয়াসিসের সমস্যা কমে যায় এবং মাথার চুলগুলিও ফিরে এসেছে।'
আরও পড়ুন: কমার্স ও ইকনমিক্স পড়ার আগ্রহ কমছে, ৫০ শতাংশ আসন কমাল মালদহের বিশ্ববিদ্যালয়
advertisement
সেন্ট্রাল আয়ুর্বেদা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন সহ-অধিকর্তা শুভ্রা মণ্ডল জানিয়েছেন, 'বহু ট্রায়াল দেওয়া হয়েছে। এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এর সুফল পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা বার বার এই ওষুধ এসে নিয়ে গিয়েছেন।' ২০০৪ সালে সোরিয়াসিস রোগ নিয়ে বাংলায় গবেষণা শুরু হয়। ওষুধ আবিষ্কার হল ২০২২-এ।
আরও পড়ুন: মল্লারপুরের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মুখ খুললেন মমতা, ক্ষতিপূরণ-সহ বড় ঘোষণা
ক্লিনিকাল ট্রায়াল ফেসিসিলেটর স্নেহেন্দু কোনারের দাবি, 'এতদিন এর কোনও উপযুক্ত ওষুধ ছিল না। এই করঞ্জা তেল দারুণ উপকার দিচ্ছে। এটি বিশেষ এক ধরনের গাছের বীজ দিয়ে তৈরি হয়। এবং ভাল খবর হল, বাংলা থেকেই হয়তো এই রোগের একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার হতে চলেছে।' সোরিয়াসিস মারাত্মক এক চর্ম রোগ। জ্বালা, ব্যথা চুলকানির সঙ্গে এর থেকে মৃত্যুও হতে পারে। রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ, সেন্ট্রাল আয়ুর্বেদা রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এই রোগের ওষুধ নিয়ে গবেষণা করেন।
এখানকার সাত বাঙালি বিজ্ঞানী মিলেই সোরিয়াসিসের ওষুধ তৈরি করেছেন। ট্রায়াল সম্পূর্ণ হলে বাজারে পাওয়া যাবে এই তেল। বলা হয় এই রোগ সারা জীবন ধরে কষ্ট দেয়। কিন্তু সাত বাঙালির এই ওষুধ কয়েকদিন পর বাজারে চলে এলে এক বিরাট আশীর্বাদ রূপে আসতে পারে বলেই মনে করছেন গবেষকেরা।