আর সবথেকে বড় কথা হল, প্রোস্টেট ক্যানসার অত্যন্ত বিপজ্জনক। সময়ে সঠিক ভাবে যার চিকিৎসা না-করা হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত প্রোস্টেট ক্যানসার হলে পুরুষদের হাঁটা-চলা করতে, বসতে এবং প্রস্রাব করতে সমস্যা দেখা দেয়। তাই নিয়মিত চেক-আপ করা জরুরি। আসলে এর মাধ্যমেই প্রোস্টেট ক্যানসার নির্ণয় করা সম্ভব। জেনে নেওয়া যাক, প্রোস্টেট ক্যান্সারের বিষয়ে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
advertisement
আরও পড়ুন: উৎসবের আগে অসহায় কৃষিজীবীরা, কীভাবে কাটবে দুর্গা পুজো!
আরও পড়ুন: রাধাষ্টমীতে কোচবিহারে বড় দেবীর মন্দিরে স্থাপন হল ময়নাকাঠ, শুরু হবে মূর্তি গড়া
প্রোস্টেট ক্যান্সার কী?
প্রোস্টেট ক্যানসার হল পুরুষদের দেহে থাকা একটি বৃত্তাকার গ্রন্থি। যা মূত্রাশয়ের ঠিক নিচেই অবস্থিত। আর প্রোস্টেট গ্রন্থিতে হওয়া ক্যানসারই প্রোস্টেট ক্যানসার নামে পরিচিত। এই ক্যানসার সাধারণত খুবই দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। হেলথলাইন-এর রিপোর্ট অনুসারে, প্রোস্টেট গ্রন্থি কিছু তরল পদার্থ উৎপাদন করে, যা শুক্রাণু গঠন করতে সাহায্য করে। কিন্তু যখন এই গ্রন্থি সঠিক ভাবে কাজ করে না, তখন কোষগুলি একসঙ্গে জুড়ে যায়, যা ক্যানসারের অন্যতম বড় কারণ হয়ে উঠতে পারে। আর প্রোস্টেট ক্যানসারের উপসর্গগুলি শনাক্ত করা মুশকিল।
মূত্রাশয় সমস্যা:
প্রোস্টেটে হওয়া টিউমার বড় আকার ধারণ করলে মূত্রাশয় এবং মূত্রনালীর উপর চাপ সৃষ্টি হয়। আর টিউমার যখন মূত্রনালীর উপর চাপ তৈরি করে, তখন মূত্রত্যাগে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এর জন্য সাধারণত অতিরিক্ত প্রস্রাব, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত এবং প্রস্রাব না-করতে পারার মতো উপসর্গ দেখা যায়।
পা ফোলা বা দুর্বলতা:
ক্যানসারের ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে টিউমার শিরদাঁড়ার উপর চাপ সৃষ্টি করে। যার ফলে পায়ে ব্যথা বা ফুলে যাওয়া কিংবা ঝিনঝিনে ভাব অনুভূত হয়। এই ধরনের ক্যানসার ধীরে ধীরে শরীরকে দুর্বল করে দেয়। যার ফলে উঠতে এবং বসতে অসুবিধা হয়।
পিঠ এবং নিতম্বে ব্যথা:
প্রোস্টেট ক্যানসার ছড়িয়ে পড়তে থাকলে তার সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ে পিঠ এবং নিতম্বে। আসলে এই ক্যানসার ছড়িয়ে পড়লে তা মেরুদন্ডে উপস্থিত কোষগুলির ক্ষতিসাধন করে। যার ফলে পিঠ এবং নিতম্বের ব্যথা বৃদ্ধি পায়। কখনও কখনও হাড়ও অত্যন্ত ভঙ্গুর হয়ে যায়।