ভাইরাল সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করার পর শারীরিক ক্লান্তি খুব স্বাভাবিক। একটা সময়ের পর তা কেটেও যায়। কিন্তু সপ্তাহ, মাস বা বছর ঘুরে যাওয়ার পরেও যদি ক্লান্তি, মনঃসংযোগে অসুবিধের মতো সমস্যা দৈনন্দিন কাজকর্মকে প্রভাবিত করে তবে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। শরীরে কোভিডের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব থেকে পরিত্রাণ পেতে কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী এখানে সেই নিয়ে কিছু টিপস দেওয়া হল।
advertisement
লেবুর শরবতে কালো মরিচ গুঁড়ো : কোভিড বা অন্য কোনও ভাইরাল সংক্রমণের ফলে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায়। এই কারণে প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল পান গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি পান করতে হবে লেবুর শরবত। এক গ্লাস জলে একটা পাতিলেবু এবং সামান্য নুন। এটা শরীরকে সতেজ করবে এবং এনার্জি যোগাবে। তবে শরবতে ঠান্ডা জল কিংবা বরফ দেওয়ার দরকার নেই।
আরও পড়ুন : রান্নাঘরের সিঙ্কে আরশোলা! এই কাজটা করে দেখুন, সমূলে নির্বংশ হবে সমস্ত পোকামাকড়
ঘি দিয়ে গরম ডাল এবং ভাত : এক চামচ ঘি দিয়ে ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত। এর কোনও তুলনা নেই। স্বাদে অনন্য তো বটেই- পুষ্টি এবং প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর চর্বি প্রদানের জন্য উপযুক্ত। একটি প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাদ্য নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং কোভিড-পরবর্তী পর্যায়ে শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। ভাতের মতো কার্বোহাইড্রেট শরীরের জ্বালানির জন্য অপরিহার্য। ঘি-এর মতো স্বাস্থ্যকর চর্বি হরমোনগুলোকে সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং কোভিড পরবর্তী ক্লান্তি থেকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করবে।
দিনের শুরুতে কিংবা মধ্যাহ্নভোজের পর একটা কলা : কলা পটাসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। তাই দুর্দান্ত শক্তি বৃদ্ধিকারী হিসাবে কাজ করে। এটি হজমশক্তি উন্নত করতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সাহায্য করবে। এনার্জির জন্য কাপের পর কাপ চা বা কফি পানের বদলে কলার মতো ভরাট এবং পুষ্টিকর ফল খাওয়া ভাল।
আরও পড়ুন : দামে কম, মেলেও প্রচুর, কোলেস্টেরল সমস্যায় সুস্থ থাকতে আপনাকে নিয়মিত খেতেই হবে এই ফল
নিয়মিত ব্যায়াম : শারীরিক বা মানসিক যে কোনও কাজের জন্যই শক্তির প্রয়োজন। তবে পুরনো রুটিনে ফেরার জন্য তাড়াহুড়ো না করাই ভাল। যদি মনে হয়, ওয়ার্কআউট করতে সক্ষম, তাহলে ধীরে ধীরে শুরু করতে হবে। এতে একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু হাল ছাড়লে চলবে না। হাঁটা, দৌড়নো, স্কিপিং শুরু করতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে তীব্রতা।
পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম চাই, তবেই শরীর সেরে উঠবে : রোগ থেকে সেরে ওঠার পর কিছুদিন বিশ্রাম জরুরি। তবে এই সময় অনেকেই টিভি দেখেন কিংবা ফোনে গল্পগুজব করে কাটান। এতে লাভ কিছু হয় না। বরং শরীরকে ঘুম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে হবে। তবেই দ্রুত সেরে ওঠা যাবে।