বেদানাকে বলা হয় ‘শীতকালের রত্ন’৷ পুনর্জন্ম ও যৌবনের প্রতীক বেদানাকে বলা হয় দীর্ঘায়ুর প্রতীক৷ আদতে ইরান ও উত্তর হিমালয়ের তরাই অঞ্চলের ফল এই বেদানা৷ এছাড়া ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়াতে অনেক দিন ধরেই প্রচুর পরিমাণে বেদানার চাষ হয়ে আসছে৷ ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে স্প্যানিয়ার্ডদের হাত ধরে এই ফল পাড়ি দেয় আমেরিকায়৷
মিশরীয় সভ্যতা
advertisement
প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় পিরামিডে মমির সঙ্গে সমাধিতে দেওয়া হত বেদানা৷ বিশ্বাস করা হত, মৃত্যুর পর পরলোকে যাত্রা সুগম করত এই ফলের উপস্থিতি৷ নীল নদের তীরে প্রাচীন প্রবাদে বলা হত, ‘‘বেদানা খাও, তাহলে তোমার যৌবন চিরস্থায়ী হবে৷’’
আরও পড়ুন : ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি এড়াতে এই পাঁচ জিনিস এড়িয়ে চলুন সব সময়
আর্মেনিয়া
আর্মেনীয়দের সঙ্গে বহু দিন ধরেই বেদানা জড়িয়ে৷ আর্মেনিয়ার জাতীয় ফল বেদানা৷ এই দেশের আর এক জাতীয় ফল হল অ্যাপ্রিকট৷
আরও পড়ুন : এই খাবারগুলি খাচ্ছেন নাকি রোজ? অজান্তেই ডেকে আনছেন ভয়ঙ্কর হৃদরোগকে
চিন
প্রাচীনকাল থেকেই চিনে প্রচলিত বিশ্বাস হল, বেদানার মধ্যেই আছে উর্বরতার শক্তি৷ সে দেশে বেদানা, পিচ ও লেবুকে যথাক্রমে উর্বরতা, সন্তান ও খুশির প্রতীক বলে ধরে নেওয়া হয়৷
আরও পড়ুন : আপনি উচ্চ রক্তচাপের রোগী? জেনে নিন রাতে কোন পজিশনে ঘুমোলে সুস্থ থাকবেন
গ্রিস
প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায় বিশ্বাস করা হত, সুরার দেবতা দিয়োনায়সাস থেকেই উদ্ভূত হয়েছে বেদানাগাছ৷ এই ফলকে চিরশাশ্বত জীবনের প্রতীক বলে বিশ্বাস করা হয় এই প্রাচীন সভ্যতায়৷