তবে মেন্যুতে একটা চমকও আছে! আসলে নববর্ষে বাঙালিদের রসনাতৃপ্তির কথা মাথায় রেখে ঐতিহ্যবাহী খাঁটি বাঙালি খাবারের হারিয়ে যাওয়া পদ এবং সেই পুরনো স্বাদ ফিরিয়ে আনার জন্য বদ্ধপরিকর পোলো ফ্লোটেল। তাই তারা এনেছে পয়লা বৈশাখ এক্সক্লুসিভ মেনু।
আরও পড়ুন– বাড়ি বা অফিসের প্রবেশদ্বারে রাখুন ‘Jade Plant’, এই ৭ উপকারিতা জানলে অবাক হয়ে যাবেন!
advertisement
নববর্ষের এই বিশেষ মেনু কিন্তু শুধু সাধারণ খাবারই নয়, তা বাংলার সংস্কৃতির পরিচায়কও বটে! আমাদের ঐতিহ্যবাহী সঙ্গে এই সব পদ ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। বিশেষ করে ঠাকুরমা-দিদিমার সেই হারিয়ে যাওয়া রেসিপি এবং গ্রামবাংলার গৃহিণীদের হাতের ছোঁয়ায় তৈরি খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন অতিথিরা। আসলে পোলো ফ্লোটেল তাঁদের সেই দিনগুলিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে, যখন মাটির রান্নাঘরে কাঠের জ্বালে রান্না করা হয়। সঙ্গে ছড়িয়ে থাকবে পেষাই করা মশলার সুবাসও!
পয়লা বৈশাখ এক্সক্লুসিভ মেনু পাওয়া যাবে মাত্র ১৭৯৯ টাকায়। এলাহি খানাপিনার পাশাপাশি থাকবে লাইভ বাউল গানের আয়োজনও। এদিকে আবার আইপিএল মরশুম তো পুরোদমে চলছেই। তাই স্কাইডেক থেকে নিজেদের প্রিয় আইপিএল টিমের খেলাও উপভোগ করতে পারবেন অতিথিরা।
কিন্তু কী কী থাকবে পয়লা বৈশাখ এক্সক্লুসিভ মেন্যুতে। এলাহি মেনুর সাজানো পদের মধ্যে থাকছে রাঁধুনি দিয়ে মাছের ঝোল, ভেটকি মাছের ঝোল, কাঁচা আম দিয়ে পোলাও, মিষ্টি মাছের মালাই, ভুনা খিচুড়ি, আম-আদা সর্ষে বাটা, পোস্ত মাংস, মেটে চচ্চড়ি, পাবদা কাসুন্দি, আম তেল পার্শে, পুদিনা পাতা কাঁচা লঙ্কা চিকেন-সহ আরও নানা কিছু।
আরও পড়ুন– IAS অফিসার টিনা ডাবির মা হিমালি ডাবিকে চেনেন? তিনি IES অফিসার ছিলেন, কিন্তু চাকরি ছাড়েন…
পোলো ফ্লোটেল, ক্যালকাটার জেনারেল ম্যানেজার সৌমেন হালদার (Soumen Halder, General Manager, Polo Floatel, Calcutta )এই প্রসঙ্গে বলেন যে, “বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছি আমরা। তার জন্য আমরা আমাদের এক্সক্লুসিভ এবং ঐতিহ্যবাহী খাঁটি বাঙালি খাবারের জন্য পয়লা বৈশাখ স্পেশ্যাল মেন্যু সাজিয়েছি। পয়লা বৈশাখ মানে আনন্দ-উদযাপন এবং নতুনকে স্বাগত জানানোর পালা। আর বাংলার আগেকার দিনের খাবারের স্বাদ, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসছে, সেখান থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে আমরা আমাদের পয়লা বৈশাখের মেনু তৈরি করেছি। এক সময় আমাদের ঠাকুরমা-দিদিমাদের স্নেহের ছোঁয়া দিয়ে রান্না করতেন। কিন্তু আজ হারিয়ে যাওয়া সেই পদগুলি ফিরিয়ে আনতে আমরা গ্রামের বিশেষজ্ঞ ঠাকুরের পরামর্শ নিয়েছি। আর পুরনো দিনের রন্ধন কৌশল এবং ঐতিহ্যবাহী খাঁটি বাঙালি খাবারের গোপন রহস্য মন দিয়ে শিখেছেন আমাদের শ্যেফ এবং প্রোডাকশন টিম।”
সৌমেন হালদার আরও বলেন যে, ‘‘আমরা সেই ঠাকুরের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। তিনি উদার ভাবে নিজের দক্ষতা ভাগ করে নিয়ে আমাদের এই হারিয়ে যাওয়া রেসিপিগুলিকে আবার ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছেন। বাংলার খাঁটি স্বাদ বিশুদ্ধতার সঙ্গে পুনরুদ্ধার করার জন্য আমরা আমাদের শ্যেফ এবং গোটা টিমের প্রশংসা করছি। তাঁদের সহযোগিতা ছাড়া এই প্রয়াস সম্ভব ছিল না।’’