আরও পড়ুন- বিশ্বের সবচেয়ে মহার্ঘ্য এই গোলাপি আম মেলে ভারতেও! প্রতি কেজির দাম ৩ লক্ষ টাকা!
ভেলি গুড়: শরীরে তাপমাত্রা বাড়লে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ভেলি গুড়ে বেশি মাত্রায় আয়রন থাকার ফলে এটা রক্ত প্রবাহকে বাড়িয়ে দেয়। পিরিয়ডের সময় সঠিক প্রবাহের জন্য গুড়ের সঙ্গে আদা, তিল, হলুদ এবং জিরে মিশিয়ে এক কাপ গরম জলের সঙ্গে চিবিয়ে খেতে হবে। পিরিয়ডের তারিখের ২-৩ দিন আগে থেকে খাওয়া শুরু করলে ভালো ফল মিলবে।
advertisement
হলুদ: হলুদ দুর্দান্ত ঘরোয়া টোটকা। গরম দুধের সঙ্গে হলুদ বেটে বা হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে হরমোনের প্রবাহে ভারসাম্যতা আসে। এর অ্যান্টিস্পাসমোডিক প্রভাব পিরিয়ডের ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়।
পেঁপে: এটাও সমান উপকারী। তবে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। নাহলে পেট খারাপ হতে পারে। পেঁপে রক্ত প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করতে জরায়ুর পেশির তন্তুকে সংকুচিত করে। এতে থাকা ক্যারোটিন উপাদান পিরিয়ডকে প্ররোচিত করতে বা প্রিপেন করতে সাহায্য করে। আনুমানিক তারিখের এক দিন আগে থেকে পেঁপে খাওয়া শুরু করা উচিত। এটা অনিয়মিত পিরিয়ড এড়াতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- সিঁড়ি থেকে পড়ে গুরুতর আহত প্রবীণ নেতা লালু প্রসাদ যাদব! ভাঙল কাঁধের হাড়
আনারস: আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, যা পিরিয়ডের সময় রক্ত চলাচল বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা ব্রোমেলাইন এনজাইম জরায়ুর দেওয়ালের আস্তরণকে প্রসারিত করে। যার ফলে পিরিয়ডের সময় সঠিক মাত্রায় রক্তপ্রবাহ হয়। এই এনজাইমটি পেশিগুলিকেও শিথিল করে দেয়। পিরিয়ডের ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয় আনারস। এ জন্য পিরিয়ডের সময় প্রতিদিন আনারস খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
চকোলেট: এই কষ্টের দিনগুলোতে চকোলেট সবচেয়ে ভালো বন্ধু। এতে থাকা উচ্চমাত্রার ম্যাগনেসিয়াম জরায়ুকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এই ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারে প্রচুর পরিমাণে তামা, প্রোটিনের মতো খনিজ রয়েছে। শুধু তাই নয়, এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রনও রয়েছে, যা পিরিয়ডকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।