৫ বছর আগেও শহরে প্রতি বছর তিনি ৬ থেকে ৭ ক্ষেত্রে দেখতেন শৈশবে ছানি পড়ার সমস্যা৷ এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ১০ থেকে ১৫ টা৷ সংখ্যাটা ভীতিজনক না হলেও চিকিৎসক বাল্কি মনে করেন শিশুদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে শৈশবে ছানির সমস্যা রোধ করার জন্য সচেতনতা প্রসার দরকার৷ ফরিদাবাদের চিকিৎসক অমৃতা কপূর চতুর্বেদীর কথায়, ‘‘প্রতি বছর বিশ্বে ২ লক্ষ শিশু অন্ধত্বের শিকার হয়৷ ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার শিশুর জন্ম হয় চোখে ছানির সমস্যা নিয়েই৷’’
advertisement
আরও পড়ুন : ফেলে না দিয়ে গাজরের খোসা ব্যবহার করুন রান্নায়, উপকারিতা পান রাতারাতি
বাচ্চাদের চোখে ছানি পড়ার একাধিক কারণ বলেছেন চিকিৎসকরা৷ দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী
# পরিবারে যদি শৈশবে ছানির সমস্যা থাকে, তাহলে আশঙ্কা বেশি হয়৷ কারণ এই সমস্যায় ফ্যামিলি হিস্ট্রি সক্রিয় ভূমিকা নেয়৷
# অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মা যদি জটিল ও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে গর্ভস্থ শিশুর চোখে ছানি পড়তে পারে
# অন্তঃসত্ত্বা পর্বে স্টেরয়েড নিলেও গর্ভস্থ শিশুর এই সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ এছাড়াও স্টেরয়েড অ্যাবিউজ, ট্রমা, কনজেনিটাল গ্লকোমা, রেটিনাল সার্জারিও এই শারীরিক সমস্যার কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে
# জন্মের পরও ছানিতে আক্রান্ত হতে পারে শিশু৷ চোখে আঘাত, অপুষ্টি, রাসায়নিকের প্রভাব বা ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবেও বাচ্চার চোখ ছানির শিকার হতে পারে
আরও পড়ুন : দুয়ারে সরকার নিয়ে আজ বিকেলে জেলাশাসকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে মুখ্যসচিব, বাড়ছে জল্পনা
অসুখ ধরা পড়ার পর বাচ্চার স্বাস্থ্য, সমস্যার গভীরতা, চোখের অবস্থা বিচার করেই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা৷ তবে তাঁরা বার বার গুরুত্ব দিয়েছেন রোগ চিহ্নিত করার উপরে৷ তাঁদের মতে, বাচ্চা অনেক সময়েই বুঝতে পারে না য়ে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা হচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে বাবা মাকে৷ স্কুলশিক্ষিকাকেও খেয়াল রাখতে হবে তাঁর ক্লাসের পড়ুয়ারা দূর থেকে ব্ল্যাকবোর্ড বা দেওয়ালে টাঙানো চার্ট ইত্যাদি দেখতে পাচ্ছে কিনা৷ কোনও পড়ুয়ার সমস্যা আছে বুঝতে পারলে জানাতে হবে তার বাবা মাকে৷ প্রতি বছর নিয়ম করে বাচ্চার চোখ পরীক্ষা করানোর উপর গুরুত্ব দিয়েছেন চিকিৎসকরা৷ তাঁদের মতে, এই সমস্যা যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে, ততই ভাল৷ দেরি হলেই বাড়বে জটিলতা৷