ঘন ঘন জল খাওয়া
জল শুধু ত্বকের সুস্থতার জন্য জরুরি নয়, একই সঙ্গে তা দাঁতে সুগার এবং অ্যাসিড জমতে দেয় না। আমরা যখন কিছু খাই তখন খাবারের কণাগুলি আমাদের দাঁতের মাঝে আটকে যায় যা দাঁতের ক্ষতিকর এনামেলকে ক্ষয় করে। তাই জল খেলে এই ধরনের কণাগুলি আমাদের দাঁত ও মাড়িতে জমতে পারে না।
advertisement
জল এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য
জল একদিকে যেমন দাঁতের শর্করা ও অ্যাসিড পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, অন্য দিকে দুগ্ধজাত দ্রব্যে হাইড্রোক্সিপেটাইটের মতো খনিজ উপাদান থাকায় এটি দাঁতের এনামেলকে মজবুত করে তোলে। তাছাড়া দুধে ক্যালসিয়াম রয়েছে বলে তা দাঁতের পুষ্টির জন্য অপরিহার্য, তাই স্বাস্থ্যকর দাঁত বজায় রাখার দুধ খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হাই ফাইবার খাবার
শাক-সবজি এবং অন্যান্য হাই ফাইবার যুক্ত খাবার শুধু হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না, এই ধরনের খাবারগুলি আমাদের দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্যও খুব ভালো কাজ করে। বিভিন্ন সবুজ শাক-সবজি যেমন পালং শাক, লেটুস, কেল দাঁতের এনামেলকে মজবুত করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- ২২-এ হবে ১২-তেই বাজিমাত! উজ্জ্বল ত্বক পেতে হলে খেতে হবে এই বারোটি জিনিস!
সুগার-ফ্রি গাম
গাম, বিশেষত সুপার-ফ্রি গাম পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যালাইভা তৈরি করে যা দাঁত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
ক্র্যানবেরি জুস
ক্র্যানবেরি জুস প্রায় ৯৫ শতাংশ প্লেক কমানোর জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত।
আরও পড়ুন- বাজরা না কি ভুট্টা? কীসের তৈরি রুটি খেলে ওজন দ্রুত কমে জানেন?
নারকেল তেল
নারকেল তেল মাড়ি ভালো রাখতে সাহায্য করে৷ এটি দাঁত ক্ষয় হওয়া থেকে প্রতিরোধ করে এবং জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে। তাই রান্নায় এবং অয়েল পুলিং-এর জন্য নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারি আমরা।
ভুললে চলবে না, খাবার ছাড়াও দাঁত পরিষ্কার রাখা জরুরি। তাই দিনে দু'বার ব্রাশ করতে হবে। একই সঙ্গে যদি মনে হয় দাঁতে কিছু আটকে আছে তাহলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই দাঁত পরিষ্কার করে নিতে হবে!