ওড়িশার সুতাহাটের এই ঘটনা প্রচার হতেই ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। ৬৩ বছর বয়সী মিনতি পট্টনায়েক (Minati Patnaik) তাঁর তিনতলা বাড়ি, সোনার অলঙ্কার এবং সমস্ত সম্পত্তি দান করেছেন বুধা সামল (Budha Samal) নামে এক রিকশাচালককে। যিনি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁর পরিবারের সেবা করেছেন।
মিনতি পট্টনায়েক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, একের পর এক মৃত্যুতে যখন তিনি সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন আত্মীয়দের কেউই তাঁকে সেভাবে সমর্থন করেনি। কঠিন সময়ে সম্পূর্ণ একা হয়ে পড়ায় হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। সে সময় বুধা এবং তাঁর পরিবার তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বিনিময়ে কিছু পাওয়ার আশা অবশ্য ছিল না তাঁর।
advertisement
আরও পড়ুন - Leaked Video: পাকিস্তানের সুন্দরী বিধায়কের অশ্লীল ভিডিও লিক হতেই Viral Video , তারপর
মিনতি দেবী আরও বলেন, তিনি বৈধভাবে বুধা এবং তাঁর পরিবারকে সব কিছু দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাতে তাঁর মৃত্যুর পর সম্পত্তি পেতে বুধা বা তাঁর পরিবারের কোনও অসুবিধে না হয়।
আরও পড়ুন - Ind vs NZ: দ্রাবিড় সামনে মুখ ফেরাতেই Mohammed Sirajকে চড় মারলেন Rohit Sharma! Viral Video
বুধা আসলে মিনতি দেবীর পরিবারের রিকশাচালক ছিলেন। মিনতি দেবীর কথায়, ‘বুধার কাজের পুরস্কার দিয়েছি আমি, তার প্রতি কোনও দয়া নয় এটা’।
মিনতি দেবীর তিন বোনের মধ্যে দুইজন তাঁর সম্পত্তি রিকশাচালক এবং তাঁর পরিবারকে দেওয়ার সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছিল, কিন্তু মিনতি দেবী নিজের সংকল্পে অটল এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। পিতা-মাতা ছাড়াও বুধার স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে, যার মধ্যে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
বুধার কথায়, "আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম যখন মা (মিনতি দেবী) আমাকে তাঁর সম্পত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা বলেছিলেন। আমি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এই পরিবারের সেবা করে আসছি এবং শেষ পর্যন্ত মায়ের সেবা চালিয়ে যাব।"
এই খবরে স্বভাবতই খুশি বুধা জানান তিনি এখন তাঁর পরিবারের সঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকতে পারবেন। মিনতি দেবীর অনুরোধে বুধা দুই বছর আগে রিকশা চালানোর চাকরি ছেড়ে দেন এবং চার মাস আগে তিনি তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মিনতি দেবীর বাড়িতে চলে যান।
বুধার স্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "আমরা সব সময় মিনাতি দেবীকে আমাদের নিজের মা হিসাবে বিবেচনা করতাম, তাই আমার স্বামী এবং আমি, আমার সন্তানরা সবাই তাঁর সেবা করেছি।"