নতুন বক্রেশ্বর, যা বক্রেশ্বর নামেই অধিক পরিচিত, অবস্থিত বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকে। এটি ৫১ সতীপীঠের অন্যতম, যেখানে দেবী সতীর ‘বাম কানের’ দেহাংশ পতিত হয়েছিল। দেশ-বিদেশের হাজারো ভক্ত এখানে প্রতি বছর ভিড় জমান।
অন্যদিকে বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের দেবগঞ্জ গ্রামে অবস্থিত ‘পুরাতন বক্রেশ্বর’ এক নিঃসঙ্গ অথচ অতীব গুরুত্বপূর্ণ তীর্থভূমি। লোকপুর থানার অন্তর্গত এই স্থানে আজও শান্ত নিসর্গের মাঝে বয়ে চলে উষ্ণ প্রস্রবণ। রয়েছে অষ্টাবক্র মুনির সমাধি, প্রাচীন শ্মশান, কালী মন্দির এবং একটি পুরনো শিব মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। এই স্থানটি এখনও পর্যটনের মানচিত্রে ততটা জায়গা করে নিতে পারেনি।
advertisement
স্থানীয় শিক্ষক মুক্তিপদ মণ্ডলের কথায়, অষ্টাবক্র মুনির আদি তপস্যা ভূমি ছিল এই পুরাতন বক্রেশ্বর। এখান থেকেই তাঁর সাধনার সূচনা এবং পরবর্তীকালে তিনি গমন করেন বর্তমান নতুন বক্রেশ্বরে। অর্থাৎ, ‘পুরাতন বক্রেশ্বর’ হল আধ্যাত্মিক যাত্রার প্রারম্ভিক ধাপ, আর ‘নতুন বক্রেশ্বর’ তার বিকাশের কেন্দ্র। বীরভূমের দুই বক্রেশ্বর, একটি পরিচিত, আরেকটি উপেক্ষিত—এই দুইয়ের মধ্যেই লুকিয়ে আছে রাঢ়ভূমির আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য, সাধনার ইতিহাস।