উত্তরবঙ্গের এই সবুজে ঘেরা পাহাড় এবং প্রকৃতির মজা নিতে প্রতিনিয়ত দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে পর্যটকেরা। উত্তরবঙ্গে যেমন রয়েছে পাহাড়ের রানী দার্জিলিং, ঐতিহ্যবাহী টয়ট্রেন, সবুজে ঘেরা চা বাগান, বিস্তীর্ণ জঙ্গল এবং এই উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে দাঁড়িয়েই নিজের চোখে চাক্ষুষ করা যায় বরফের চাদরে মোড়া ঘুমন্ত বুদ্ধা অর্থাৎ কাঞ্চনজঙ্ঘাকে।
আরও পড়ুন: ডিমের কুসুমে রক্তের দাগ খেয়াল করেছেন কখনও? এমন ডিম খেয়ে ফেললে শরীরে কী হয় জানেন?
advertisement
তবে জানেন কি এই উত্তরবঙ্গেই লুকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন অজানা গ্রাম এবং সেই গ্রামগুলি ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে পর্যটকদের আস্তানা।
বর্তমানে শহরের ভিড়ভার ছেড়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নিরিবিলি অজানা গ্রামেই ভিড় বারছে পর্যটকদের। সকলেই চায় পাহাড়ের কোলে শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে নিজের মতো করে কিছুটা সময় কাটাতে সেই অর্থে এই বিভিন্ন অজানা গ্রাম এবং এই অফবিট ডেস্টিনেশনগুলি পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষস্থানে জায়গা করে নিয়েছে। সেই অর্থেই বর্তমানে দার্জিলিংয়ের কাঞ্চন ভিউ চা বাগান অর্থাৎ রংনিত চা বাগান বর্তমানে পর্যটকদের কাছে এক টুকরো স্বর্গরাজ্য চারিদিকে।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে প্রিয় খাবারটাই কি এবার খেতে পারবে না বাংলাদেশ! কোন খাবার? ভারত যা করল, শুনে চমকে উঠবেন!
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম তামাং বলেন, ‘সবুজে ঘেরা প্রকৃতি পাহাড়ের বিস্তীর্ণ ঢাল জুড়ে সবুজে ঘেরা চা বাগান সাথে ঘুমন্ত বুদ্ধা অর্থাৎ কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন এবং এর সবুজে ঘেরা আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ নিমিষেই মন মুগ্ধ করবে আপনার। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তায় চলতে চলতে একদিকে যেমন ধরা দেবে পাহাড়ি গ্রাম লেবং তেমনি অন্যদিকে চোখের সামনে ভেসে উঠবে সিকিমের পাহাড়। চা বাগানে নেপালি পোশাকে ফটোশুট করতে ব্যস্ত পর্যটকেরা।’
অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে পাহাড়ে ঘুরতে আসে এক পর্যটক পূজা পাল জানান, ‘আমি প্রথমবার আসলাম এই জায়গাটিই সত্যিই অসাধারণ চারিদিকে সারি সারি পাহাড় আর তার মাঝে এই সবুজে ঘেরা চা বাগান সত্যিই অসাধারণ। এখন নেপালি পোশাকে চা বাগানে ফটোশুট করছি, বেশ ভাল লাগছে।’
আপনিও যদি ছুটির দিনে বা অবসর সময়ে এমন কোন পাহাড়ে ঘেরা অফবিট ডেস্টিনেশনে পরিবার অথবা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে চান তাহলে দার্জিলিং পাহাড়ের বুকে এই কাঞ্চন ভিউ চা বাগান হতে পারে আপনার সেরা ঠিকানা। শীতের ছুটিতে এক রাত কাটিয়ে আসুন চারিদিকে পাহাড় চা বাগান জঙ্গল দিয়ে ঘেরা, অপরূপ সুন্দর এই গ্রাম থেকে।
সুজয় ঘোষ