এই অদ্ভুত স্বভাবের জন্য শহরবাসী বামাপদ গড়াইকে এক ডাকে চেনেন। তাঁর খাদ্য তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজি, তবে সবই কাঁচা অবস্থায়। বামাপদবাবুর ব্রেকফ্রাস্ট থেকে শুরু করে ডিনার, সবই চলে বিভিন্ন রকমের কাঁচা সবজি দিয়ে। বামাপদ গড়াই পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা। নিত্যদিন কাটোয়া শহরের স্টেশন বাজার এলাকায় সকাল থেকে বসেন সবজি নিয়ে। বিক্রির পাশাপাশি নিজেও খেতে থাকেন বিভিন্ন রকমের কাঁচা সবজি। বামাপদ সকালের দিকে আলুটাই বেশি খান। দু’তিনটে আলুতেই ব্রেকফাস্ট হয়ে যায় তাঁর। বেলা বাড়লে অল্প কিছুটা কুমড়ো বা লাউ খেয়ে নেন। দুপুরের আগে বাঁধাকপি খান বেশ কিছুটা। তারপর হাতের কাছে যা সবজি পান, তাই খান।
advertisement
সন্ধ্যার দিকে খুব বেশি খান না। লাউ, কুমড়া, বাঁধাকপি অল্প করে খেয়ে নেন। সব মিলিয়ে সারাদিনে প্রায় সাত থেকে আট কেজি কাঁচা সবজি খাওয়া হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন বামাপদ। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘‘বছর কুড়ি হবে আমি কাঁচা সবজি খাচ্ছি। কাঁচা সবজি দিয়েই আমি টিফিন করি। যখন যে সবজি থাকে তখন সেই সবজি দিয়ে টিফিন করি। এই সবজি না খেলে আমার অসুবিধা হয় , খেলে কোনও অসুবিধা হয়না। ক্রেতা সবজি কিনতে এসে সবজি ভাল নয় বললে আমি খেয়ে দেখিয়ে দিতাম । সেই থেকে কাঁচা সবজি খাওয়া অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন : শহরের বুকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কে! বিরল প্রজাতির এই প্রাণীকে দেখতে ভিড় আমজনতার
শুধুমাত্র এই কাঁচা সবজি খেয়েই শহরবাসীর কাছে পরিচিত নন বামাপদ । তাঁর আরও একটি প্রতিভা রয়েছে। তিনি বিভিন্ন রকম পশুপাখির আওয়াজ করতে পারেন, যাকে এক কথায় বলে হরবোলা। বক পাখি থেকে শুরু করে কুকুর, কোকিল , শূকর থেকে বিড়াল, ব্যাঙ… সবেরই ডাক ডাকতে পারেন বামাপদ। গত প্রায় ২০ বছর ধরে কাঁচা সবজি খেয়ে আসছেন বামাপদ গড়াই । কাঁচা সবজি খাওয়া এবং পশুপাখির আওয়াজ করার জন্য কলকাতা, দুর্গাপুর, আসানসোল-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যে তিনি একাধিক অনুষ্ঠানও করেছেন। আধুনিকতার যুগে কদর বেড়েছে কাটোয়ার বামাপদ গড়াই-এর।





