এখানে রয়েছে পায়ে পায়ে অ্যাডভেঞ্চার। লম্বা টানা অযোধ্যা পাহাড় রেঞ্জে ঘন সবুজ অরণ্য। সেই সঙ্গে নীল জলরাশি। আর তার চারপাশ জুড়েই ঘন জঙ্গল। চোখের সামনে এমন ল্যান্ডস্কেপ ভেসে উঠলে যে কেউ যেতে চাইবেন। তাই রীতিমতো অফবিট টুরিজমের আমেজ উপভোগ করছেন পর্যটকরা।
অফবিট টুরিজমের পাশাপাশি খয়রাবেড়ায় বাড়তি পাওনা বাউলগান। সন্ধ্যা নামলেই খয়রাবেড়া লেকের পাশ থেকে ভেসে আসে বাউল গান। এই খয়রাবেড়ার পাশেই বুড়দা গ্রামের বাসিন্দা তথা গাইড মিঠুন সিং মুড়ার বাড়ি। তিনি গাইডের পাশাপাশি পর্যটকদের বাউল গান শোনান। ট্রেকিং-এর পথ বাতলে দিয়ে পর্যটকদের সঙ্গীও হন। দিনভর সাইট সিয়িং করে এসে বাউল আর বাঁশির সুরে রিসর্ট-এ বসেই পুরুলিয়ার লোকশিল্পেও ডুবে দিতে পারেন পর্যটকেরা।
advertisement
আরও পড়ুন : রাখী গুলজার ফের বাংলা ছবিতে, পরিচালনায় শিবপ্রসাদ-নন্দিতা
খয়রাবেড়া রিসর্টে থাকছে ছৌ নাচ দেখারও সুযোগ। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে দেখা মিলতে পারে চিতল হরিণ, গোল্ডেন জ্যাকেল,খরগোশের। আর ট্রেকিং পথে বন্য শূকর, হায়না, এমনকি বুনো হাতিরও মুখোমুখি হয়ে যেতে পারেন। এই লেকে বোটিং করারও ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও ফিশিং , বাস্কেটবল , ভলিবল , ব্যাডমিন্টন খেলার সুযোগ রয়েছে খয়রাবেড়ার রিসর্ট-এ। শহরের কোলাহল থেকে নিরিবিলিতে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম সেরা ঠিকানা হতেই পারে এই খয়রাবেড়া।