নির্দিষ্ট তারিখের আগে এই সিদ্ধান্ত মাকেই নিতে হবে। সন্তানকে জন্ম দেওয়ার আগে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নর্মাল এবং সিজার, ডেলিভারির (Normal Or Cesarean Delivery) এই দু'টি বিকল্পেরই কিছু সুবিধা অসুবিধা আছে। এখানে সেই নিয়ে আলোচনা করা হল। মা এবং শিশুর জন্য কোনটা (Normal Or Cesarean Delivery) সেরা হবে সেটা এবার জেনে নেওয়া যাক।
advertisement
আরও পড়ুন- কোভিডের অনেক পরেও শ্বাস প্রশ্বাসে অসুবিধা? একমাত্র প্রাণায়াম করলেই মিলবে সুফল!
নর্মাল ডেলিভারি: সন্তান জন্ম দেওয়ার এই উপায়টি (Normal Delivery) সব থেকে নিরাপদ। ঝুঁকি একদমই নেই বললেই চলে। বিজ্ঞান বলে, নর্মাল ডেলিভারি হলে পরবর্তী সন্তান ধারনের সময় কোন অসুবিধা হয়না। এই ধরনের ডেলিভারিতে কোনওরকম কাটা ছেঁড়া করা হয় না। অ্যানেস্থেশিয়াও দেওয়া হয় না। যে কোনও হাসপাতালে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এমনকী বাড়িতেই নর্মাল ডেলিভারি করানো যায়।
অধিকাংশ মহিলা নর্মাল ডেলিভারিই পছন্দ করেন। কারণ শিশুর জন্ম দেওয়ার সময় মায়ের শরীর এবং সন্তানের সঙ্গে সংযোগ অনুভব করার এটাই সবচেয়ে প্রাকৃতিক উপায়। অনেকে শরীরে ইঞ্জেকশন এবং ওষুধ নিতে স্বচ্ছন্দ নন, তাই এই পদ্ধতিই তাঁরা পছন্দ করেন। তবে এটা কষ্টকর। এই পদ্ধতিতে শরীর থেকে অনেক ঘাম বের হয়। অ্যামনিওটিক তরল, রক্ত এবং বাচ্চার জন্মের পর প্লাসেন্টা বা নাড়ি বের হয়। এছাড়াও এই পদ্ধতিতে ভ্যাজাইনাল ইনজুরি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এই ইনজুরি এত বেশি হয় যে সেলাই করতে হয়।
সিজারিয়ান ডেলিভারি: সিজারিয়ানের (Cesarean Delivery) প্রধান সুবিধা হল মা-কে প্রসব বেদনা সহ্য করতে হয়না। তাছাড়া ভ্যাজাইনাল ইনজুরি ও অত্যাধিক রক্তক্ষরণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অন্যদিকে এখানে মায়েদের অসুবিধাও হল পরবর্তীতে সন্তান ধারণের সময় এক্টোপিক বা টিউবাল প্রেগনেন্সি, প্লাসেন্টা প্রিভিয়া, প্লাসেন্টা অ্যাক্রিটা এবং প্লাসেন্টাল অ্যাবরাপশনের মতো সমস্যার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর বাচ্চার শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন- যক্ষ্মা প্রাণঘাতী, তবে এই তিনটি যোগাসনে মারণরোগকে ঠেকাতে পারেন সহজেই!
তবে কোন পদ্ধতিটা (Normal Or Cesarean Delivery) মায়ের জন্য সঠিক হবে সেটা কিছু মেডিক্যাল চেক আপের পর চিকিৎসকরাই বলে দেবেন। কখনও কখনও প্রকৃতি ভিন্ন পরিকল্পনা করে রাখে। আসল বিষয় হল মা এবং শিশুর সুস্থ থাকা। শেষ পর্যন্ত এটা মায়ের শরীর। তাই চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে মায়ের সহজাত প্রবৃত্তির উপর বিশ্বাস রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।