এই নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি বা এনআরটি (NRT)-কে অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (World Health Organization)। আর এই নিকোটিন থেরাপিতে ১২ সপ্তাহের একটা কোর্স থাকবে, যা ধূমপায়ীদের ধূমপানের আসক্তি থেকে মুক্তি দেবে।
আরও পড়ুন- মাঝে মাঝেই পেটে খারাপ করে? কোনটা খাবেন আর কোনটা এড়িয়ে গেলেই ভাল?
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এই থেরাপির খরচও অনেক কম। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, কেউ যদি ধূমপানের নেশা থেকে মুক্তি পেতে চান, তা-হলে দৈনিক মাত্র ১০-১৩ টাকা খরচ করতে হবে। আর এই এত কম পরিমাণ টাকা খরচ করেও মাত্র ৯০ দিনের মধ্যেই এই অভ্যেস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ধূমপায়ীদের সংখ্যার নিরিখে ভারত অন্যতম স্থানে রয়েছে। আমাদের দেশের প্রায় ২৬.৭ কোটি ধূমপায়ী রয়েছেন। এর মধ্যে ৯.৯ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে ধূমপান করেন, আর ১৯.৯ কোটি মানুষ ধোঁয়াহীন ধূমপান করে থাকেন। আর ভারতে বিড়ি ও ধোঁয়াবিহীন তামাকের ব্যবহার সবথেকে বেশি।
advertisement
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভয় দেখিয়ে রোখা যাবে না তৃণমূলকে, পোস্টার পড়ল শহরের একাধিক জায়গায়
এনআরটি (NRT)-র জন্য ভারতের বাজার দ্রুত বাড়ছে। রিপোর্ট বলছে যে, এখানকার বাজার প্রায় ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই বাজারে সিপলা (Cipla) কোম্পানি রমরমিয়ে ব্যবসা করছে। যাঁরা ধূমপানের অভ্যেস ত্যাগ করতে চাইছেন, তাঁদেরকে বর্তমানে গামের মতো একটা পণ্য ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। Cipla-র এক মুখপাত্রের বক্তব্য, “২০১৫ সাল থেকে সিপলা হেলথ (Cipla Health) এনআরটি (NRT)-কে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে জোর দিয়েছে। এখন এর দু’টি ব্র্যান্ড-নিকোটেক্স এবং নিকোগাম। এই দু’টিই বাজারে দেদার বিকোচ্ছে।”
গাম-এর পাশাপাশি লজেন্স এবং ট্রান্সডার্মাল প্যাচও বাজারে পাওয়া যায়। তবে এগুলি ততটাও জনপ্রিয় নয়। এনআরটি জরুরি ওষুধের তালিকায় স্থান করে নেওয়ার পরে এর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ব্র্যান্ড বাজারে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে ওটিসি-র একটি ২ মিলিগ্রামের প্যাক পাওয়া যাচ্ছে। তবে ৪ মিলিগ্রাম ওটিসি-র জন্য ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন হবে। আবার দুই বছর আগেই স্ট্রাইড কনজিউমার নামে বেঙ্গালুরুর একটি কোম্পানি বাজারে এনেছিল গাম এবং লজেন্স। এ-ছাড়াও রিজেন ফার্মা এবং গ্ল্যামমার্কও গাম তৈরি শুরু করেছে। সম্প্রতি গুরুগ্রামের একটি সংস্থাও গাম তৈরির কথা ঘোষণা করেছে।