মাঝে মাঝেই পেটে খারাপ করে? কোনটা খাবেন আর কোনটা এড়িয়ে গেলেই ভাল?

Last Updated:

পেট খারাপ হলে খাওয়ার ইচ্ছেটাই চলে যায়। কিন্তু শরীরের পুষ্টির জন্য এবং শক্তি ফিরে পেতে কিছু খাবার খেতেই হবে।

মাঝে মাঝেই পেটে খারাপ করে? কোনটা খাবেন আর কোনটা এড়িয়ে গেলেই ভাল?
মাঝে মাঝেই পেটে খারাপ করে? কোনটা খাবেন আর কোনটা এড়িয়ে গেলেই ভাল?
কলকাতা: পাকস্থলীর সংক্রমণ ভয়াবহ। পুরো সিস্টেম অকেজো হয়ে যায়। শরীর দুর্বল লাগে। সাধারণত দূষিত জল বা খাবার কিংবা সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে পাকস্থলীর সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো হল বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা এবং পেটে ব্যথা।
পেট খারাপ হলে খাওয়ার ইচ্ছেটাই চলে যায়। কিন্তু শরীরের পুষ্টির জন্য এবং শক্তি ফিরে পেতে কিছু খাবার খেতেই হবে। পাকস্থলীর সংক্রমণ হলে সব খাবার হজম হয় না। তাই কষ্ট কমাতে এবং সংক্রমণ নিরাময়ে স্বাস্থ্যসম্মত, পুষ্টিকর এবং প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কলা: পাকস্থলীর সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে ডায়েটে কলা রাখতেই হবে। এটা হজম করা সহজ। বমি এবং ডায়রিয়ায় শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যায়। কলা তা পুনরুদ্ধার করে। তা ছাড়া পেটের আস্তরণকে শক্তিশালী করতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত অন্ত্র নিরাময়েও কলা মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কলায় থাকা পেকটিন অন্ত্রের অতিরিক্ত তরল শোষণ করে। ফলে মল শক্ত হয় এবং ডায়রিয়া সেরে যায়।
advertisement
advertisement
ভাত: ডায়রিয়ায় সকালে এবং রাতে কী খাওয়া উচিত, এই প্রশ্ন করেন অনেকেই। এক কথায় এর উত্তর হল, এক বাটি লবণাক্ত সাদা ভাত। এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি প্রদান করে। জটিল কার্বোহাইড্রেটগুলি বমির ফলে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া পুষ্টিগুলিকে প্রতিস্থাপন করতে সাহায্য করে, ফলে শরীরকে খুব দুর্বল হয়ে পড়ে না। তবে এই সময় নুন ছাড়া অন্য কোনও মশলা এড়িয়ে চলাও উচিত।
advertisement
ডাবের জল: পাকস্থলীর সংক্রমণের পরে সবচেয়ে খারাপ জিনিসগুলির মধ্যে একটি হল ডিহাইড্রেশন। তাই শরীরে তরল পুনরায় পূরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। শরীরকে রিহাইড্রেট করার জন্য ডাবের জল একটা দুর্দান্ত পানীয়। এতে আলাদা করে চিনি যোগ করতে হয় না। অথচ এটা ইলেকট্রোলাইটের প্রাকৃতিক উৎস। এতে পটাশিয়াম তো থাকেই, এ ছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি যেমন সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ।
advertisement
দই: পেট খারাপ নিরাময়ে আরেকটি দুর্দান্ত খাবার হল দই। এটা প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে এর জুড়ি নেই। তা ছাড়া অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে দই। এতে থাকা ভিটামিন শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়ায় এবং স্নায়ুতন্ত্রকেও সুস্থ রাখে।
advertisement
যে সব খাবার এবং পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে: উপরে উল্লিখিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি, পেটের ফ্লু বা ফুড পয়জনিং-এর সময় কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে কফির মতো ক্যাফিনযুক্ত পানীয়। এটা পেটের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। উচ্চ চর্বিযুক্ত, ভাজা, অত্যন্ত অ্যাসিডিক এবং মশলাদার খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে। দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যও এ সময় খাওয়া উচিত নয়। কারণ এগুলো হজম করা কঠিন হতে পারে।
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
মাঝে মাঝেই পেটে খারাপ করে? কোনটা খাবেন আর কোনটা এড়িয়ে গেলেই ভাল?
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement