বাঙালির মন পাহাড় জয় করে নিয়েছে! গঙ্গাজলঘাটিতে রয়েছে একাধিক পাহাড়। প্রথমেই আসা যাক কোড়ো পাহাড়ে। এই পাহাড় অবস্থিত গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের কাপিষ্ঠা গ্রামে। সুন্দর পাহাড়। রয়েছে দারুণ সাজানো সিঁড়ি। পাহাড়ের উপরেই রয়েছে একটি অষ্টধাতুর মা পার্বতীর মন্দির। পাহাড়ের গলায় মুক্তোর মালার মত রয়েছে মহিমানন্দ তপবন আশ্রম। এছাড়াও গঙ্গাজলঘাটিতে পাওয়া যাবে নাচনচন্ডী পাহাড়। এই পাহাড়ের উপরেও রয়েছে একটি মন্দির।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
এবার আসা যাক গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের মূল পর্যটন আকর্ষণ গাংদুয়া ড্যাম। বাঁকুড়া মানেই মুকুটমণিপুর এবং শুশুনিয়া নয়! বাঁকুড়াতে রয়েছে বহু এইরকম লুকানো ঘোড়ার জায়গা। গাংদুয়া ড্যাম তার অন্যতম। বাঁকুড়া শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে গঙ্গাজলঘাটি ব্লক থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত শালী নদীর ওপরে এই ড্যাম, যার নাম গাংদুয়া। শীতের ঝলমলে রোদে নতুনরূপে সেজে উঠেছে ড্যামটি। তাই দেরি না করে চলে আসুন। রয়েছে পিকনিক এবং ভোটিং করার ব্যবস্থা। চাইলে থাকতেও পারেন সুলভ মূল্যে।
আরও পড়ুন Minister on Cycle: সাইকেলে চেপে রাস্তায় ঘুরছেন মন্ত্রী থেকে পুলিশ সুপার! ব্যাপারটা কী?
ঐতিহাসিক দিক থেকে গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের গুরুত্ব যথেষ্ট বেশি। এই ব্লক সাক্ষীএকাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামের,যার মূল চক্রী ছিলেন গোবিন্দপ্রসাদ সিংহ।এখানে এসেছেন মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। গঙ্গাজলঘাটির অমরকাননে গেলেই সেই সব ইতিহাস আজও টের পাওয়া যায়। তাই বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি একটি মূল পর্যটন কেন্দ্র হতেই পারে। শুধুমাত্র পরিচিতির অভাবে যা এখনও হয়ে ওঠেনি।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





