যদিও অভয়ারণ্যের ভেতরে বনভোজন করার অনুমতি দেয় না বন দফতর থেকে কিন্তু অভয়ারণ্যের সীমানার বাইরেই বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা সানন্দে পিকনিক করে চলেছেন। এছাড়াও অভয়ারণ্যের ভেতরেও বিভিন্ন পশুপাখি জন্তু দেখার জন্য ছোট থেকে বড় সকলেরই বাড়ছে ভিড়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বছরখানেক আগেই মুর্শিদাবাদের এসে বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য প্রবেশ মূল্য নিশুল্ক করে দিয়েছিলেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই অভয়ারণ্যতে ১ পয়সাও প্রবেশ মূল্য লাগে না। সপ্তাহে বুধবার ছাড়া প্রতিদিন অভয়ারণ্য খোলা রয়েছে। তবে প্রবেশের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘১ লক্ষ’ ভারতীয় টাকার ‘দাম’ কত হবে জানেন…? শুনলেই চমকাবেন ‘উত্তর’, শিওর!
ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য অভয়ারণ্য কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে চারটি ভাগে পর্যটকদের ভাগ করে সেই চারটি সময়তে গ্রুপ করে অভয়ারণ্যতে প্রবেশ করানো হচ্ছে। তাদের সঙ্গে থাকছে দুজন গাইড সর্বক্ষণ। যেহেতু এই অভয়ারণ্যের মধ্যে পশুপাখি জীবজন্তুর সব ছাড়া থাকে, সেই কারণেই কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। যাতে জঙ্গলে থাকা পশু পাখিদের কোনরকম ক্ষতি না হয় পর্যটকদের জন্য।
ডেপুটি ফরেস্ট রেঞ্জার রাজেশ বিশ্বাস জানান, সকাল ১১ টা এরপর বেলা ১২ টা দুপুর ১ টা এবং সর্বশেষ দুপুর ২ টো, এই চারটি সময়তে গ্রুপ করে তবে পর্যটকদের অভয়ারণ্যতে প্রবেশ করানো হয়ে থাকে। বেলা ৩ টের পরে অভয়ারণ্য বন্ধ হয়ে যায় সকল পর্যটকদের অভয়ারণ্য থেকে তখন বেরিয়ে যেতে হয়। দুপুর ২ টোর পর কোনও পর্যটককে অভয়ারণ্যতে প্রবেশ করতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না।
শীত যত জাঁকিয়ে পড়ছে ততই ভিড় বাড়ছে এই সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। তবে পর্যটক বাড়ার পাশাপাশি সেই ভিড় সামাল দিতেও তৎপর কর্তৃপক্ষরা। আর সেই কারণেই শৃঙ্খলাপরায়নভাবে এই অভয়ারণ্যতে প্রকৃতির সঙ্গে আন্তরিকতা বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
মৈনাক দেবনাথ





