এক সময় ‘ঠিকা গাড়ি’ নামে পরিচিত ছিল ঘোড়ার গাড়ি। আগে ঘোড়ার গাড়ি নিত্যদিনের সঙ্গী হলেও আধুনিকতার ছোঁয়াতে ঘোড়ার গাড়ির সঙ্গে কমে গেছে এর যাত্রীও। লালবাগ শহরে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এই ঘোড়ার গাড়ি। অনেক মানুষ ঘোড়ার গাড়িতে চড়ার জন্য লালবাগ শহরে আসে।
advertisement
ঘোড়ার গাড়ি
প্রাচীনকালে যখন যন্ত্রচালিত বাহন ছিল না, তখন মানুষ পশুচালিত গাড়িতে করে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াত করত। শুধু তাই নয়, জমিদার ও নবাবের বাহন ছিল এটি। কিন্তু আজ আর নবাব নেই। কিন্তু মুর্শিদাবাদ শহরে এলেই মিলবে নবাবের স্বাদের এই ঘোড়ার গাড়ি। স্বাভাবিকভাবেই মুর্শিদাবাদ ভ্রমণ যেন আপনার জন্য অপেক্ষা করছে নতুন কিছু, যা এখন অবশ্য অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে।
বর্তমান দিনে যেখানে মানুষ বাস, গাড়ি, টোটোতে করে যাতায়াত করছে, আর ঘোড়ার গাড়ি চড়ার অভিজ্ঞতা একটু ভিন্ন। এতে চড়ে মুর্শিদাবাদের আশেপাশের সব দেখা যায়। উন্মুক্ত গাড়িতে বসে খোলা আকাশের নিচে টগবগিয়ে এগিয়ে যায়। তবে রূপকথার গল্পেও অনেক শুনলেও বাস্তবে দেখা যাবে হাজারদুয়ারিতে এলেই। সুসজ্জিত বিভিন্ন ঘোড়ার গাড়ি সাজিয়ে তুলে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গড়ে তোলা হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ইংরেজ আমলে তৎকালীন বাংলা, বিহার আর ওড়িশার রাজধানী ছিলেন মুর্শিদাবাদের নবাবরা। তাঁদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হিসেবে চালু করেছিলেন এই টাঙা গাড়ি। কালক্রমে শুধু নবাবরাই নয়, সাধারণ মানুষদের পরিবহণের মাধ্যম হয়ে ওঠে এই টাঙা। কাজে লাগানো হতে থাকে মাল পরিবহণেও। নবাবি আমল ছেড়ে এ আমলেও, এই কয়েক বছর আগে পর্যন্ত কুটুমবাড়ি কিংবা বিয়েবাড়ি যেতেও ভর করা হত এই টাঙাওয়ালাদের উপরেই। কম খরচে মাল পরিবহণের জন্য ব্যবসায়ীদের অন্যতম ভরসা ছিল এই টাঙাই, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত। লালবাগ তো বটেই, বাসুদেবপুর, ব্যাংডুবি, সাজুর মোড় এসব জায়গার ঘোড়ার গাড়ি স্ট্যান্ড বহুল পরিচিত ছিল সকলের কাছে।





