এবার নিম্নচাপে কংসাবতী ড্যামের জল বাড়বে কিছুটা। নীল জল প্রতিবছর মন টানে হাজার হাজার পর্যটকের। এই ড্যামকে কেন্দ্র করে জীবিকা চলে বহু নৌকাচালকের। যারা প্রতি বছর পর্যটকদের কংসাবতী ড্যামকে কেন্দ্র করে ডিয়ার পার্ক, দুই নদীর সঙ্গমস্থল এবং আরও সুন্দর সুন্দর ঘোরার জায়গাগুলি ঘুরিয়ে দেখান। বৃষ্টির কারণে বেড়েছে কিছুটা জলস্তর। পর্যটকদের ভিড় বাড়ার আশা রয়েছে যথেষ্ট।
advertisement
আরও পড়ুন: গরমের ছুটিতে বাঁকুড়া যাওয়ার প্ল্যান! এই একটি জায়গা যেতে ভুলবেন না, ভুললেই বড্ড মিস
নৌকাবিহার এলেই দেখতে পাবেন সারি সারি নৌকা, দাঁড় করানো রয়েছে ড্যামের ধারে। আর তাদের মাথায় লেখা রয়েছে নাম, যেমন সোনারতরী, অন্নপূর্ণা, প্রভুজি, কিরণমালা এবং আরও কত কি! এক নৌকাচালক জানান, “যে যার নিজের পছন্দমতো নাম রাখেন। তবে সেই নাম দেখে আকৃষ্ট হন পর্যটকেরা। প্রথমবার যে নামের নৌকায় উঠেছিলেন সেই নামের নৌকাকেই খোঁজেন দ্বিতীয়বার।”
আরও পড়ুন: পাহাড় থেকে ড্যাম, মিলবে ইতিহাসও! বাঁকুড়ার এই একটি জায়গা ঘুরতে যাওয়া মানেই হাতের মুঠোয় সবকিছু
একটি নৌকায় প্রশাসনের নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৮ জন উঠতে পারে। প্রত্যেকেই পাবেন লাইফ জ্যাকেট। নৌকাবিহারের তিনটি প্যাকেজ রয়েছে। আড়াই ঘণ্টার সর্বোচ্চ প্যাকেজটির ভাড়া হল মাথাপিছু ১৫০ টাকা করে। ন্যূনতম ১০ জন অথবা রিজার্ভ ১৫০০ টাকা না হলে নৌকা ছাড়বে না। সর্বোচ্চ প্যাকেজে দুই নদীর সঙ্গমস্থল, কালী মন্দির, ডিয়ার পার্ক, সোনার বাংলা পার্ক এবং পরেশনাথ মন্দির। এর পর রয়েছে ১ ঘণ্টার “রানিং প্যাকেজ”। নাম লেখা নৌকার সংখ্যা প্রায় ৭০টি।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী