১। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রথম খাবার হল মেথি দানা। প্রথমে সামান্য নারকেল তেলে মেথি দানা দিয়ে গরম করে নিতে হবে। তারপর ঠান্ডা করে সেটা লাগাতে হবে মাথায়। আলতো হাতে মাথার ত্বকে মাসাজ করলে সবচেয়ে ভাল হয়। সারারাত রেখে দিয়ে পরদিন সকালে স্নান করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ঘরে ঘরে বাচ্চা-বয়স্ক সবার জ্বর, উপসর্গ চিনে সাবধান থাকুন
advertisement
মেথি দানা দিয়ে কাড়ি বানিয়ে খাওয়া যায়। কিংবা খিচুড়িতেও দেওয়া যায়।
কুমড়োর মতো সবজির জন্য কিংবা রায়তার স্বাদ নিতে মেথি ফোড়ন হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। হরমোনজনিত সমস্যার কারণে যদি চুল পড়ে তাহলে মেথির দানা দারুণ কার্যকরী। এটা ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: ঘন ঘন বাচ্চার জ্বর-অসুস্থতা? বর্ষার রোগ নিয়ে সাবধান হতে জানুন শিশু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
২। দ্বিতীয় উপকারী খাবার হল অলিভ বীজ। চুলের যে কোনও সমস্যায় এক চামচ অলিভ বীজ দুধের সঙ্গে ভিজিয়ে খাবার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। নারকেল এবং ঘি দিয়ে তৈরি লাড্ডুতে এই অলিভ বীজ ছড়িয়ে দেওয়া যায়। পুষ্টিবিদরা বলেন, এতে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়। কেমো চললে চুল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সব চুলই প্রায় উঠে যায়। এই সময়েও ফের চুল গজানোর জন্য অলিভ বীজ খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
৩। বর্ষাকালে চুলের যত্নে জায়ফল খাওয়া এবং ব্যবহারের পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। দুধে অলিভের সঙ্গে এক চিমটি জায়ফল মিশিয়ে নিতে হবে। নাইটক্যাপ হিসেবে এটা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে থাকা ভিটামিন বি৬, ফলিক অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম চুল পড়া আটকায় এবং চুলের ডগা ভেঙে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
অন্যান্য উপাদান যা দরকারী -
ঘি - এর প্রয়োজনীয় চর্বির জন্য।
হলুদ - এর ইমিউনো বুস্টিং বৈশিষ্ট্যের জন্য।
দই - খনিজ এবং প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার জন্য।