লক্ষণ: মাঙ্কিপক্সে ত্বকে সমস্যা তো হচ্ছেই। বড় বড় ফুসকুড়ি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে আরও তিনটি লক্ষণ। যা আগে ছিল না। সেগুলো হল, যৌনাঙ্গে ঘা, মুখে ঘা এবং মলদ্বারে ঘা।
আরও পড়ুন : মাঝে মাঝেই হাতে ব্যথা? শরীর কোনও মারাত্মক রোগের জানান দিচ্ছে না তো?
advertisement
নতুন উপসর্গ সম্পর্কে আরও কিছু: গবেষণায় দেখা গেছে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত প্রতি দশজনে একজনের যৌনাঙ্গে ঘা এবং ১৫ শতাংশের পায়ু বা মলদ্বারে ব্যথা ছিল। মাঙ্কিপক্সের এই লক্ষণগুলো অনেকটা সিফিলিস বা হারপিসের মতো। ফলে অনেক সময় রোগ নির্ণয়ে ভুল হয়ে যাচ্ছে। গবেষকরা দেখেছেন, ভুল রোগ নির্ণয়ের ফলে মাঙ্কিপক্স সনাক্ত করতে দেরি হয়ে যাওয়ায় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। ফলে নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কিছু মানুষ মলদ্বারের ব্যথায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন : শুধুই পানীয় নয়, বর্ষায় মশার কামড় থেকে বাঁচাতেও অব্যর্থ গ্রিন টি
রোগ নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ : সময়ে রোগ নির্ণয় এবং উপযুক্ত চিকিৎসা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে মাঙ্কিপক্স। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা বলছেন, মুখে ঘা, যৌনাঙ্গে ব্যথা কিংবা ঘা গুরুতর আকার নিতে পারে। তাই সময়ে চিকিৎসা করানো গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন : সবুজের তুলনায় গোলাপি অ্যালোভেরা কি বেশি উপকারী? জানুন চুল ও ত্বকের যত্নের দরকারি কথা
মাঙ্কিপক্স এসটিআই-এর মতো নয় : লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল সিনিয়র লেকচারার, যৌন স্বাস্থ্য এবং এইচআইভি পরামর্শদাতা এবং চিকিৎসক জন থর্নহিল বলছেন, "এটা বুঝতে হবে যে মাঙ্কিপক্স যৌন সংক্রমণ নয়। ঘনিষ্ঠ শারীরিক যোগাযোগ হলেও এটা অন্যের শরীরে ছড়াতে পারে। ডক্টর থর্নহিল আরও বলেছেন, এখনও পর্যন্ত যৌন সম্পর্ক থেকে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন অধিকাংশ রোগী। কিন্তু তারপরেও বলতে হবে, এটা শুধুই যৌন সম্পর্কের ব্যাপার নয়। নতুন উপসর্গ থেকে কীভাবে মাঙ্কিপক্স ছড়াচ্ছে, গোষ্ঠী সংক্রমণের ঝুঁকি কতটা, এগুলো বুঝতে পারলেই সনাক্তকরণ সহজ হয়ে যাবে এবং ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণেও রাখা যাবে।"