পেটে যা খাওয়া হবে, ত্বকেও সেটাই প্রতিফলিত হবে। একধিক গবেষণায় এ কথা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে দুধের ক্ষেত্রেও ১০০ শতাংশ ভাবে এ কথাটা বলা যায়। দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের ফলে ত্বকে একাধিক সমস্যা দেখা গিয়েছে। দুগ্ধজাত খাবার কীভাবে ত্বকে প্রভাব ফেলে?
হরমোনের বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে: গরুর দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যে কেসিনের মতো প্রোটিন রয়েছে। এটা ইনসুলিনের মতো গ্রোথ ফ্যাক্টর-১, প্রোল্যাকটিন, প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন এবং স্টেরয়েডের মতো নির্দিষ্ট হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। দুধের উৎপাদন বাড়তে অনেক সময় গরুকে রিকম্বিন্যান্ট বোভাইন গ্রোথ হরমোন (আরবিজিএইচ) নামক সিন্থেটিক হরমোন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এই সমস্ত হরমোন বিশেষ করে আইজিএফ-১ সিবামের বর্ধিত উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত যা ত্বকের তেল উৎপাদনকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে ত্বকের ছিদ্রগুলো ব্লক হয়ে যায়। ব্রণ হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : নিখুঁত ত্বক পেতে ব্যবহার করুন গুলঞ্চ, দীপাবলিতে আপনিই শ্রেষ্ঠ সুন্দরী
ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি: ডেয়ারি প্রোডাক্ট বেশিরভাগ সময় অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মেশানো হয়। যেমন প্রক্রিয়াজাত খাবার বা চিনি যা ইনসুলিনের মাত্রাকে ব্যাহত করে। এতে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যে দুধ খাওয়া হয় তা ইনসুলিনের মতো প্রোটিনে আত্তীকৃত হয়। ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীর সংক্রামিত হয়। ফলে ত্বকের প্রদাহজনক অবস্থা যেমন ব্রণ, একজিমা, রোসেসিয়া এবং ত্বকের অবস্থা যেমন অ্যাকান্থোসিস নিগ্রিক্যানস, অ্যামাইলয়েডোসিস, পিগমেন্টেশন, শুষ্কতা ইত্যাদির সৃষ্টি করে। এই প্রদাহের ফলে কোলাজেন ভেঙে যায়। ত্বকে বলিরেখা ফুটে ওঠে।
আরও পড়ুন : আয়ুর্বেদের তৈল পাক বিধিই আজকের প্রোটিন অয়েল! চুলের সব সমস্যা দূর এই তেলেই
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স: ল্যাকটোজ একধরনের চিনি যা প্রাকৃতিকভাবে দুগ্ধজাত খাবারে পাওয়া যায়। শরীর সেই চিনিকে ভেঙে ফেলার জন্য ল্যাকটোজ নামক এনজাইম ব্যবহার করে যাতে দেহ সেটা শোষণ করতে পারে। কিন্তু শরীরে পর্যাপ্ত ল্যাকটোজ না থাকলে প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। প্রত্যেকের ত্বকের সমস্যা দুগ্ধজাত খাবারের কারণে হয় না তবে দুগ্ধজাত খাবার ত্বকের অনেকগুলি অন্তর্নিহিত অবস্থাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য যথাযথ ডায়েট জরুরি। জেনেটিক্স, স্ট্রেস, হরমোন, ঘুম, দূষণ যাতে প্রভাব ফেলতে না পারে সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।