সমস্যা চিনে নিতে হবে
যদি দেখা যায় কেউ তাঁর প্রিয় বন্ধুদের থেকে অকারণে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন এবং নির্জনতাকে বেছে নিচ্ছেন তাহলে বুঝতে হবে কোথাও একটা সমস্যা আছে। এছাড়াও প্রতিদিনের কাজে ভুল হয়ে যাওয়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা চুপ করে বসে থাকা, কোনও কাজে উৎসাহ না পাওয়া এবং ছোট ছোট বিষয়ে অমার্জিত আচরণ করা এগুলো সবই পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডারের লক্ষণ।
advertisement
সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে
ট্রমা বা স্ট্রেসজনিত যে কোনও সমস্যা সুখী জীবনের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। ট্রমার মোকাবিলা করতে হবে এবং কারও থেকে সাহায্য নিতে দ্বিধা করলে চলবে না। ঘটনাটি সম্পর্কে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং তাঁদের থেকে পরামর্শ নিতে হবে।একটি ডায়েরিতে নিজের অভিজ্ঞতা লিখে রাখা যায়। এটা স্ট্রেস সম্পর্কে হলে চলবে না, বরং দৈনন্দিন অভ্যাস, একটি ছোট গল্প বা পোষা বিড়াল বা কুকুর সম্পর্কেও হতে পারে। এতে কাজ না হলে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিতে হবে এবং থেরাপিস্ট দেখিয়ে সেশনে যোগ দিতে হবে। রোগ যত তাড়াতাড়ি সনাক্ত হবে তত দ্রুত এর থেকে নিরাময় পাওয়া যাবে।
চাপ মুক্তির পথ খুঁজতে হবে
মানসিক চাপ কাটিয়ে ওঠার পথ খুঁজে বের করতে হবে। যোগব্যায়াম, মেডিটেশন এগুলো শুরু করতে হবে।
ইএমডিআর থেরাপি
এই পদ্ধতিতে মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে লুকিয়ে থাকা আবেগ বের করে আনা হয়। এই পদ্ধতিতে স্মৃতিতে ফোকাস করে রোগ নির্মূল করা হয়।
ইমোশনাল ফ্রিডম পদ্ধতি
এটি একটি শরীরকেন্দ্রিক থেরাপি যেখানে ডাক্তাররা রোগীকে সমস্ত ধরনের চাপের মোকাবলা করতে সাহায্য করার জন্য আকুপ্রেশার পয়েন্টগুলিকে উদ্দীপিত করেন। দেখা গিয়েছে যে এই পদ্ধতিতে রক্তচাপ হ্রাস পায় এবং রোগীরা অনেক বেশি রিল্যাক্স বোধ করেন।
যোগব্যায়াম
মন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেই অনেক সমস্যা দূর হয়। অন্তত দুই ঘণ্টা যোগব্যায়াম করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। সূর্য নমস্কারও খুব কাজে দেয় এই ক্ষেত্রে।