আকুপ্রেশার ক্রমশ জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। কারণ কোনরকম উপাদান ওষুধ পথ্য ছাড়াই, শরীরের বিশেষ কয়েকটি অংশে, এবং হাতের ও পায়ের তালুর নিচে চাপ দিয়েই নির্মূল হচ্ছে কঠিন ব্যাধি। মানবদেহে থাইরয়েড অ্যাড্রিনাল, পিটুইটারি অগ্নাশয়ের মত অন্তক্ষরণগ্রন্থি থেকে নির্গত রস মাংসপেশী এবং নার্ভের উপর অত্যন্ত ফলপ্রসু হিসেবে কাজ করে। আর যার নিয়ন্ত্রণ হিসাবে সুইচ রয়েছে আপনার নিজের দেহেই।
advertisement
আরও পড়ুন: বলুন তো, ভারতের কোন রাজ্যে বেতন সব থেকে বেশি? বাংলার কী অবস্থা, শুনে চমকে যাবেন!
মাথাব্যথা, মাইগ্রেন, সাইনাস, আর্থারাইটিস, স্পন্ডলাইসিস, লিভারের সমস্যা, অ্যালার্জির মতো একাধিক সমস্যায় আকুপ্রেসার চিকিৎসা পদ্ধতিতে মুহূর্তের মধ্যেই মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও স্নায়ুর নানা সমস্যা, স্নায়ুর রোগ, পক্ষাঘাত, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েডের সমস্যাতেও এই পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকরী। তবে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুব বেশি না থাকলেও অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, দিনে দুবারের বেশি এবং টানা দুই মিনিটের বেশি এই পদ্ধতি ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: পদ্মে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কথা অমিত শাহের সঙ্গেও! দাঁড়াবেন কোন কেন্দ্র থেকে?
প্রসঙ্গে নদিয়ার চাকদা থেকে আগত গোপাল বিশ্বাস জানান নানান অজানা বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রাচীন শরীর সুস্থ রাখার বিভিন্ন পদ্ধতি। তিনি বলেন মনের দুঃখে দু চোখের নিচের অংশ দিয়ে উষ্ণ জল নির্গত হয় কিন্তু আনন্দের অথবা শরীরে আঘাত পেলে দু চোখের দু পাশে থাকা ধার দিয়ে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা জল নির্গত হয়। দূরের কোনও স্থানে যাওয়ার সময় মলমুত্রের বেগ অনায়াসেই থামিয়ে রাখা যায় বেশ কয়েক ঘন্টা, অর্থাৎ ঈশ্বর যেমন শরীর সৃষ্টি করেছেন তেমনি শরীরের নানান রোগব্যাধি নির্মূলেরও ব্যবস্থা করে রেখেছেন শরীরের মধ্যেই। আর সেটাই হল হাতের এবং পায়ের তালু অর্থাৎ স্নায়ু তন্ত্রের শেষ প্রান্ত যেখানে ৪০ টি পয়েন্টে সামান্য আঘাত করলেই নার্ভের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন গ্রন্থি সক্রিয় করার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি সাময়িক নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
—— Mainak Debnath