১৯৪২ সালে ভারত ছাড় আন্দোলনে ২৯ সেপ্টেম্বর তমলুক থানা দখল অভিযানে মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। মাতঙ্গিনী হাজরা পর পর ব্রিটিশ পুলিশের গুলির ঘায়ে আহত হয়ে লুটিয়ে পড়লেও, জাতীয় পতাকা মাটিতে পড়তে দেননি। সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। স্বাধীনতা সংগ্রামে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদানের কথা অনস্বীকার্য৷ তাঁর বাসভূমি তমলুকের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের আলিনান এলাকাকে আগেই আদর্শ গ্রাম করা হয়েছে। বীরাঙ্গনার জীবন কাহিনী ও স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর ভূমিকা বর্তমান প্রজন্ম ও আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে আলিনান গ্রামে মাতঙ্গিনী হাজরার মিউজিয়াম ও মেমোরিয়াল গ্যালারি তৈরি হয়েছে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে।
advertisement
আরও পড়ুন: রোজ দিতে হবে ২০ টাকা, না দিলে…! স্কুলেও এবার চাঁদার জুলুমবাজি, বেনজির ঘটনার সাক্ষী শিলিগুড়ি
এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের মাতঙ্গিনী হাজরার বর্তমান প্রজন্মেরা জানান, “স্বাধীনতা সংগ্রামে মাতঙ্গিনী হাজরা নাম স্মরণীয় হয়ে আছে। রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়ে মাতঙ্গিনী হাজরার বাসস্থানে একটি মিউজিয়াম গড়ে তুলেছে।” এর পাশাপাশি আঞ্চলিক ইতিহাসবিদ জয়দেব মালাকার জানান, ‘মাতঙ্গিনী হাজরা তমলুকের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তার সাহসিকতা অনুপ্রাণিত করেছিল হাজার হাজার মানুষকে। তার সাহসিকতার সাক্ষী আজও বহন করে চলেছে তমলুক।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মাতঙ্গিনী হাজরা নাম ১৯৪২ সালের আগস্ট আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শুধু ৪২ এর আগস্ট আন্দোলন নয়। তার আগে থেকেই প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন বীরাঙ্গনা মাতঙ্গিনী হাজরা। লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলন থেকে বিভিন্ন স্বদেশী আন্দোলনে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান উল্লেখ্যযোগ্য। কখনও সরাসরি আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া, আবার কখনও আন্দোলনের নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করা। গান্ধি বুড়ি নামে খ্যাত এই মহিলা তমলুক তথা অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার গর্ব।