প্রকৃতির টানে প্রাচীন মন্দির দর্শন করতে অনেকেই ছুটে যান জঙ্গলমহলের বাঁকুড়া। যদিও মন্দিরের জেলা বলা হয় বাঁকুড়াকে। কিন্তু জঙ্গলমহলের এই জেলায় রয়েছে বহু প্রাচীন মন্দির। বিক্ষিপ্ত নয় একই সাথে পাশাপাশি অবস্থান বহু মন্দিরের। কলকাতা থেকে খুব কাছে রয়েছে মন্দির গ্রাম। মেদিনীপুর জেলা শহর থেকে অনতি দূরে নদীর পাড়ে রয়েছে মন্দিরময় পাথরা গ্রাম। প্রাচীন সময়ের একাধিক মন্দির এই গ্রামে রয়েছে বলে গ্রামটিকে বলা হয় মন্দিরময় গ্রাম। মেদিনীপুর শহর থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাথরা গ্রাম। পরপর একাধিক মন্দির থাকার কারণে মন্দির গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
advertisement
ছুটিতেই সকলে বেড়াতে পছন্দ করেন। কেউ কেউ পছন্দ করেন নদী, সাগর কিংবা পাহাড়। তবে এই গ্রামে এলে মুগ্ধ হবেন আপনিও। গ্রামের মধ্যেই রয়েছে একাধিক কারুকার্যমন্ডিত মন্দির। মন্দিরে পুজো না হলেও মন্দিরের কারুকার্য এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব নজর কাড়ে ভ্রমণপিপাসু মানুষদের। একাধিক মন্দিরে রয়েছে টেরাকোটার নানা শিল্পের কাজ। মন্দিরের দেওয়ালে খোদিত করা আছে নানা দেবদেবীর মূর্তিও। আর মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শান্ত কংসাবতী নদী। যার হিমেল হাওয়া আর চারিদিকে ঘেরা মন্দিরের এক দুর্দান্ত আবহ নিয়ে যাবে সুদুর ইতিহাসের হাতছানিতে।
আরও পড়ুন : এখানেই নাকি ছিল চন্দ্রকেতুগড়, গাছগাছালির সবুজের মাঝে প্রাচীন শিবমন্দির, ঘুরে আসুন ছোট্ট ছুটিতে
মেদিনীপুর শহরের অনতিদূরে ইতিহাসের উপাদানে ভরপুর পাথরা গ্রাম, আজ আর ততটা অপরিচিত নয়। ছোট্ট গ্রামের মধ্যে একাধিক মন্দিরের অবস্থান এই গ্রামকে পরিচিতি এনে দিয়েছে। মেদিনীপুর শহর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার গেলে কাঁসাই নদীর তীরে ছোট সুন্দর গ্রাম পাথরা। মন্দিরের কারুকার্য ও গ্রামের ইতিহাস শোভিত করবে আপনার মনকে। জানতে পারবেন ইতিহাসের নানা কাহিনী।
কাঁসাই নদীর ধারে নির্জন পরিবেশে এক মন্দিরনগরী, চারপাশে ফুলের বাগান, পর্যটকদের জন্য আবাস প্রভৃতি নিয়ে এক পর্যটনস্থলের নয়া ডেস্টিনেশন এই পাথরা। একদিনের ছুটিতে এখানে ঘুরতে গেলে আপনি থাকতে পারবেন মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন সরকারি কিংবা বেসরকারি লজ কিংবা হোটেলে।
তাই একদিনের ছুটি নিয়ে দেরি না করে একবারের জন্য ঘুরে আসুন মন্দিরময় এই গ্রাম থেকে। সারা সপ্তাহের ক্লান্তি নিমেষে দূর হয়ে যাবে।





