ভিটামিন বি৬ কতটা গ্রহণ করা উচিত: ৫০ বছর বা তার কম বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ভিটামিন বি৬-এর প্রস্তাবিত দৈনিক পরিমাণ হল, ১.৩ মিলিগ্রাম। ৫০-এর বেশি বয়স হলে পুরুষদের দৈনিক ১.৭ মিলিগ্রাম এবং মহিলাদের ১.৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি৬ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। অস্ট্রেলিয়ার যে ব্যক্তি চলচ্ছক্তি হারিয়েছেন তাঁকে দৈনিক ৫০ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি৬ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছিল, যা আদর্শ ডোজের তুলনায় অনেক বেশি।
advertisement
বিষাক্ততার লক্ষণ: শরীরে ভিটামিন বি৬-এর বিষাক্ততা বিরল। কারণ বেশিরভাগ সময়েই অতিরিক্ত ভিটামিন বি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন গ্রহণ, বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদে, বিষাক্ততা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনিক ২০০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন বি৬ গ্রহণ করলে স্নায়বিক ব্যাধি হতে পারে। যার মধ্যে নার্ভের ক্ষতির কারণে পায়ের অনুভূতি চলে যাওয়া অন্যতম। তবে সঠিক চিকিৎসা করলে ৬ মাসের মধ্যেই মুক্তিলাভ সম্ভব। টেলর বলেছেন, তাঁর বাবা সম্পূর্ণ সুস্থ হবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তিনি আশা করছেন, শারীরিক থেরাপি খুব শীঘ্রই তাঁর বাবাকে হুইলচেয়ার সরিয়ে ফের নিজের পায়ে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।
ভিটামিন বি৬-এর প্রয়োজনীয়তা: ভিটামিন বি৬ একটি জলে দ্রবণীয় ভিটামিন যা শরীরের বিভিন্ন কাজের জন্য প্রয়োজন। এটি প্রোটিন, চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেট বিপাক, লোহিত রক্তকণিকা এবং নিউরোট্রান্সমিটার তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিকভাবে শরীরে ভিটামিন বি৬ তৈরি হয় না। খাবার থেকে এটা গ্রহণ করতে হয়। ভিটামিন বি৬ সর্বোত্তম স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য বি ভিটামিনের মতো বি৬ শরীরের খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করতে এবং যে খাবার খাওয়া হয় তা থেকে পুষ্টি শোষণ করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন বি৬-এর উৎস: যে সব খাবার থেকে ভিটামিন বি৬ পাওয়া যায় সেগুলি হল- মুরগির মাংস, মাছ, ছোলা, চিনেবাদাম, সয়াবিন, মটরশুঁটি, ওটস, কলা, দুধ, আলু।