আরও পড়ুনঃ ইউরিক অ্যাসিডের ‘যম’ এই ‘সবজির রস’! ম্যাজিকের মতো কমাবে শরীরের ফোলা, ব্যথা! লাগবে না ওষুধ
অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ সরকার জানান, “পঞ্চাশ পেরোনো পুরুষদের শরীরে হরমোন জনিত ভারসাম্যের সমস্যার জন্য এই গ্ল্যান্ড আকারে বড় হয়ে যায়। এর নাম বিনাইন প্রস্টেটিক হাইপারপ্লেশিয়া বা বিপিএইচ। কোন কোন ক্ষেত্রে এতই বড় হয়ে যায়। যে প্রস্রাবথলি থেকে প্রস্রাব নির্গমনের রাস্তার উপরে চাপ পড়ে নানা উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। প্রস্রাব চেপে রাখার ক্ষমতা কমে যায়। প্রস্রাবের গতি কমে যায়। প্রস্রাব করার পরেও মূত্রথলি এবং নালি পুরো খালি না হয়ে প্রস্রাব জমে থাকে। সেখান থেকে মূত্রথলিতে পাথরও তৈরি হতে পারে। কিডনির উপরে চাপ পড়ে কিডনি ফুলে যেতে পারে। প্রস্রাবে সংক্রমণের ফলে রক্তও পড়তে পারে।”
advertisement
তিনি আরও জানান, “শুধু যে পঞ্চাশ পেরোলেই প্রস্টেটের অসুখ হয়, তা কিন্তু নয়। কম বয়সেও প্রস্টেটের ইনফেকশন হতে পারে। যাকে ডাক্তারি ভাষায় প্রস্টেটাইটিস বলে। এর ফলে প্রস্রাবে জ্বালা, রক্তক্ষরণ, পুঁজনিঃসরণ, জ্বর এই সব উপসর্গ দেখা দিতে পারে। শুধু সংক্রমণ বা আকারে বড় হয়ে যাওয়াই নয়। প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের অসুখের একটি তৃতীয় ধরনও আছে সেটা হল প্রস্টেট ক্যানসার। কাজেই মানুষকে সচেতন হতে হবে। প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের কোনও সমস্যা বা অসুবিধে টের না পেলেই। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর নিয়মিত চেকআপ করানো জরুরি।\” তবে সমস্যা হলে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা শুরু করলে দ্রুত সমাধান পাওয়া যায়। তাই অবহেলা করা উচিত নয়।
Sarthak Pandit