যদিও বিশেষ ধরনের খাবার কোচবিহারে তৈরি করা হয় না। এটা নিয়ে আসা হয় বাইরের রাজ্য থেকে। তবে ছট পুজোর উপলক্ষে এই বিশেষ খাবার বিক্রি হচ্ছে কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারে। দুশো টাকা কিলো থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে এই মাখানা।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে বিশুদ্ধ খাবার কী জানেন? রিপোর্টে দাবি, সেটি রয়েছে প্রত্যেক ভারতীয়ের রান্নাঘরে
advertisement
ভবানীগঞ্জ বাজারের এক বিক্রেতা চন্দ্রাবতী গুপ্তা জানান, “এই মাখানা মূলত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আগে বিক্রি করা হয়। যাঁরা ব্রত পালন করেন কিংবা নিরামিষ খান। তাঁদের জন্য দারুণ ভাল খাবার এই মাখানা। স্বাদে অনেকটা মাশরুমের মতো লাগে খেতে। তবে এই খাবার কোচবিহারে কোথাও বানানো হয় না। তাই এটা মূলত বিহার বা উত্তরপ্রদেশ থেকে নিয়ে আসা হয়। এই মাখানা দুশো টাকা কিলো দর থেকে শুরু করে পাঁচশো টাকা কিলো দর পর্যন্ত দামে বিক্রি করা হয়। তবে বর্তমানে ছট পুজো উপলক্ষে এই মাখানা বিক্রি করা হচ্ছে। অনেকেই ছট পুজো উপলক্ষে বাড়িতে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এই সুস্বাদু মাখানা।”
আরও পড়ুন: খেজুরের নামে চিনা জুজুবি ফল খাচ্ছেন না তো? কীভাবে বুঝবেন? আসল খেজুর চেনার উপায় জানুন
এক ক্রেতা সন্দীপ গুপ্তা জানান, “যাঁরা পুজোয় ব্রত পালন করে থাকেন কিংবা নিরামিষ খাবার খান। তাঁরা এই মাখানা খেয়ে থাকেন। এটা তরকারি কিংবা দুধের সঙ্গেও খাওয়া যায়। খেতে দারুণ সুস্বাদু হয় এই মাখানা। এছাড়াও এর পুষ্টিগুণ রয়েছে প্রচুর। তাই পুজোর সময় অনেকেই বাড়িতে কিনে নিয়ে যান এই মাখানা।” বাজারের আরেক ক্রেতা পঙ্কজ গুপ্তা জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে ছট পুজো আসলেই বাজারে এই মাখানা বিক্রি করা হয় দোকানে দোকানে। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই মাখানা খেলে শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। এছাড়া ছট পুজোর কুলো কিংবা ডালি সাজাতে এই মাখানা ব্যবহার করা হয়।” পুষ্টিগুণে ভরপুর এই মাখানা কোচবিহারে সব সময় পাওয়া যায় না। তবে বছরের যে সময়ে পাওয়া যায় তখন অনেকেই কিনে থাকেন এই সুস্বাদু খাবার।
Sarthak Pandit