দুর্গাপুর রাজ্য সড়কের পাশে ছোট্ট জনপদ বেলিয়াতোড়। বেলিয়াতোড় এই জন্ম হয়েছিল জগত বিখ্যাত ভাস্কর্য শিল্পী যামিনী রায়ের। এছাড়াও বেলিয়াতোড় একটা অন্য পরিচয় রয়েছে, তা হল মেচা সন্দেশের জন্মভূমি।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণনগর বসন্ত উৎসবে মঞ্চ মাতালেন রানা দলুই! থাকছে ‘ফসিলস’ও, কবে? দেখে নিন
এখানেই প্রায় কুড়িটি পরিবার এই মেচা সন্দেশ তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন সারা বছর। আর সেই মেচা-ই সম্প্রতিকালে ইন্ডিজেনাস শিল্পকর্ম হিসাবে জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ পাওয়ার পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে। বাঁকুড়া শহরের এক মিষ্টি ব্যাবসায়ী মেচা তৈরি করে হাতে কলমে শিখিয়ে দিলেন এই মিষ্টি তৈরির খুঁটিনাটি।
advertisement
তিনি জানান প্রথমে ছানা তৈরি করে সেটাকে মেশিনে পেশাই করে ১ কিলো বেসন, দুই কিলো চিনি, আড়াইশো খোয়া ক্ষীর সঙ্গে পরিমাণ মত এলাচ এবং কর্পূর দিয়ে একটা পাক তৈরি করা হয়। তারপর গরম অবস্থাতেই পাকানো শুরু করে দিতে হবে ঘি দিয়ে।
একদিকে সন্দেশ পাকাতে পাকাতে, ১ কেজি ৫০০ গ্রাম চিনি দিয়ে রস তৈরি করতে হবে। এবার গোল গোল করে পাকানো শেষ হলে, ওই সন্দেশ চিনির রসে ডুবিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে বাঁকুড়ার জগৎ বিখ্যাত মেচা সন্দেশ। পুরো পদ্ধতিটির তত্ত্বাবধানে ছিলেন বাঁকুড়ার জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান “সেলিব্রেশন” এর কর্ণধার মধুসূদন মোহান্ত।
নাম এবং মেচার রূপ দেখলে হয়ত মনে হতে পারে যে এই মিষ্টি তৈরি করতে অনেক সময় লাগবে, তবে সেটা একদমই নয়। সঠিক পদ্ধতি জানা থাকলে খুব কম সময়েই বানিয়ে ফেলা যাবে বেশ কয়েকটি মেচা সন্দেশ।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী