সাবুদানায় স্টার্চ বা শর্করার পরিমাণ অত্যধিক৷ কমপ্লেক্স কার্বস শরীরকে প্রচুর পরিমাণে কর্মশক্তি বা এনার্জি দেয়৷ কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা পরিমিত রাখতে একবারে বেশি সাবু না খাওয়াই ভাল৷ প্রোটিন ও ভিটামিনের পরিমাণও সাবুদানায় কম৷ তবে সাবুর সবথেকে ভাল দিক হল, এটা গ্লাটেনমুক্ত৷ যাঁরা সেলিয়াক ডিজিজে ভুগছেন, তাঁদের কাছে গমের আটা ও দানাশস্যের ভাল বিকল্প সাবুদানা৷ গবেষণা বলছে, শরীরচর্চা শুরুর আগে সামান্য সাবুদানা খেলে তা উপকারী৷ এর ফলে শরীরচর্চার অনুশীলন ভাল হয়৷ স্টার্চে ভরপুর বলে শরীরে চটজলদি এনার্জির যোগান দেয়৷
advertisement
আরও পড়ুন : কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কীভাবে পালন করবেন মহাশিবরাত্রি তিথি?
রোগা বলে হীনমন্যতায় কষ্ট পান? তাহলে আপনার বন্ধু হতে পারে সাবুদানা৷ ডায়েটে সাবুদানা থাকলে ওজন বাড়ার পক্ষে সহায়ক শর্ত তৈরি হবে৷ আন্ডারওয়েটের খাদ্যতালিকায় সাবুদানা থাকা ভাল৷ সাবুদানায় আছে ভিটামিন বি-৬ এবং ফোলেট৷ ফলে গর্ভস্থ ভ্রূণের সুস্থতার জন্য এটি খুবই উপকারী৷ অন্তঃসত্ত্বাদের ডায়েটে সাবুমাখা রাখার রীতি চলে আসছে অনেক দিন ধরেই৷
আরও পড়ুন : মহাশিবরাত্রিতে কী কী ভোগ উৎসর্গ করতে পারেন দেবাদিদেবকে?
একদিকে পরিপাকে সহায়ক৷ অন্যদিকে, সাবুদানা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে৷ তাই পেটের সমস্যায় কাতর যাঁরা, তাঁরা মাঝে মাঝেই স্বাদবদল করুন সাবুদানায়৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মুক্তোসদৃশ সাবুদানা হৃদরোগের ঝুঁকিও কম করে৷ ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর সাবুদানা হাড় মজবুত করে৷ উন্নত করে হাড়ের ঘনত্ব৷ ডায়েটে নিয়মিত সাবুদানা থাকলে তা উপশম করে অস্টিওপোরোসিস ও আর্থ্রাইটিসের মতো হাড়ের অসুখ৷
আরও পড়ুন : এই সহজ উপকরণেই গরমকালে মুক্তি পান তেলতেলে নাক ও ব্ল্য়াকহেডস থেকে
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ সাবুদানা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে৷ কমিয়ে দেয় স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের মতো হৃদরোগের ঝুঁকি৷ যেহেতু সাবুদানা নিজেই শর্করায় ঠাসা, তাই এই উপাদান দিয়ে নোনতা পদ তৈরি করাই ভাল৷ চিনি মিশিয়ে খেলে সেই পদ আন্ডারওয়েট সমস্যার ক্ষেত্রে ভাল৷ কিন্তু মধুমেহ রোগী বা অন্যক্ষেত্রে বিপদ ডেকে আনবে৷ আর দোকান থেকে সব সময় পরিশোধিত সাবুদানাই কিনবেন৷ অপরিশোধিত সাবুদানা থেকে কিন্তু বমি, লিভারের ক্ষতি থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে৷