মঞ্চে গান করা সময় বেছে নিতেন রঙিন পাড়ের সাদা শাড়ি৷ বেশির ভাগ সময়েই সেই পাড় হত চওড়া, কখনও কখনও সূক্ষ্মকাজেরও৷ সেরা হ্যান্ডলুম শাড়ি ও হিরের গয়নায় সাজানো ছিল তাঁর আলমারি৷ উজ্জ্বল প্রসাধনীর বিপরীত মেরুতে থাকা লতা মঙ্গেশকরের ব্যক্তিত্ব ছিল তাঁর গলা জড়িয়ে থাকা শ্বেতশুভ্র আঁচলের মতোই দ্যুতিমান৷
আরও পড়ুন : আম, জাফরান সুবাসিত গাজরের হালুয়া এবং আশা ভোঁসলের তৈরি শাম্মি কাবাব ছিল সুরসম্রাজ্ঞীর পছন্দের শীর্ষে
advertisement
কিংবদন্তি শিল্পী কখনওই চাননি তাঁর কণ্ঠকে আড়াল করে দিক তাঁর সাজসজ্জা৷ তাই সাদা শাড়ি এবং হিরের অলঙ্কারের বাইরে সবকিছু থেকেই মুখ ফিরিয়ে ছিলেন৷ সেরা হ্যান্ডলুম শাড়ির পাশাপাশি পছন্দ ছিল হিরের গয়নার৷ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তাঁর জীবনের প্রথম উপার্জন মায়ের জন্য সোনার গয়না কিনেছিলেন৷ তাঁর নিজের জন্য তৈরি করিয়েছিলেন বিশেষ নক্সার হিরে ও চুনির একটা আংটি৷
আরও পড়ুন : সরস্বতী পুজোর পরই আসে শীতল ষষ্ঠী, গোটা সিদ্ধর স্বাদ যেন সন্তানের জন্য মায়ের স্নেহের মতোই অমলিন
তাতে খোদাই করা ছিল তাঁর নাম ও পদবি আদ্যক্ষর-‘LM’৷ এই আংটি ছিল তাঁর সেরা প্রাপ্তির মধ্যে অন্যতম-স্বীকার করতেন নিজেই৷ কোনওদিন কাছছাড়া করেননি সেই অঙ্গুরীয়কে৷ শোনা যায়, ১৯৪৭ সালে এই আংটির জন্য তিনি খরচ করেছিলেন ৭০০ টাকা৷
তিনি ছিলেন সঙ্গীততপস্বী৷ গানের পাশাপাশি সেই ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ ছিল তাঁর ব্যক্তিত্ব ও সাজেও৷