গত কয়েক বছর আগে এর প্রচার বা জনপ্রিয়তা তেমন ছিল না। কুরকুট আসলে বুনো পিঁপড়ে যারা গভীর শাল জঙ্গলে থাকে। মুখের লালা দিয়ে পাতাগুলোকে পুটুলি করে বাসা বাঁধে। আগে গ্রামে গ্রামে আম জাম কাঁঠাল গাছে পাওয়া যেত। রাসায়নিকের কারণে এই পিঁপড়ে আর গ্রামাঞ্চলে দেখা যায় না সচরাচর। জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে এই পিঁপড়ের ঝোল বা পিঁপড়ের চাটনি খুব উপদেয় খাদ্য। অনেকের মতে জ্বর- জালা, সর্দি কাশি প্রতিহত করতে এই পিঁপড়ের ঝোলের জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া অরুচি কাটাতে পিঁপড়ের ঝোল অতুলনীয়। করোনা মহামারীর সময়ে এই পিঁপড়ে একসময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসে বাঁকুড়ার এই মাটির কথা না জানলে ভুল হবে! লাল মাটির ম্যাজিক্যাল গুণ জেনে নিন
উল্লেখ্য, পিঁপড়ের ডিম নয়, পিঁপড়ে গুলো খাওয়া হয় উপদেয় খাদ্য হিসেবে। যার দাম সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা কেজি। বাঁকুড়া জেলার জঙ্গলমহলের প্রত্যেকটি হাটে এবং পার্শ্ববর্তী জেলা ঝাড়গ্রামের প্রত্যেকটি হাটে এই পিঁপড়ে বিক্রি হয়। পিঁপড়ের সবথেকে বড় অন্যতম বাজার হল বাঁকুড়ার খাতড়া এবং সারেঙ্গা।
আরও পড়ুন: শাড়ি পরা কোচ, টিম খেলছে গোয়া, চণ্ডীগড়, ভূপালে! বাঁকুড়ার ফুটবলের অনবদ্য নাম গৃহবধূ ‘ভারতী’
আঞ্চলিক ভাষায় এই লাল পিঁপড়ের নাম ‘কুরকূট’। মকর পরবের সময় পিঁপড়ে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। আবার বর্ষাকালে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এই সময় মৎস্যজীবীরা মাছের চার হিসাবে পিঁপড়ে কিনে নিয়ে যান। উপস্থিত অনেকেই জানালেন, টক স্বাদের পিঁপড়ের ঝোল এবং পিঁপড়ের চাটনি খুবই মুখরোচক। শীতের শুরুতে যেহেতু অনেকেই সর্দি জ্বরে ভুগছেন তাই এই পিঁপড়ের চাহিদা যথেষ্ট।





