এই ভাবেই তৈরি হয় কলাইয়ের রুটি। মূলত শীতের মরশুমে গ্রামীণ মালদহের বেশ কিছু এলাকায় এই কলাইয়ের রুটি খেতে দেখা যায়। তবে বর্তমানে মালদহের গ্রামীণ এলাকার এই খাবার শহরেও প্রভাব বিস্তার করতে শুরু হয়েছে। বর্তমানে মালদহ শহরের একাধিক রাস্তার মোড় থেকে জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে পাওয়া যায় কলাইয়ের রুটি।
আরও পড়ুন: উঠে দাঁড়ালেই মাথা ঘোরে? শরীরে রক্তের ঘাটতি আপনাকে শেষ করে দিতে পারে! জানুন
advertisement
শুধুমাত্র শীতের মরশুম নয়, বর্তমানে মালদহ শহরে গোটা বছর বিক্রি হচ্ছে হাতে তৈরি কলাইয়ের রুটি। বিক্রেতা সনকা মণ্ডল বলেন, কলাই, চাল ও গম দিয়ে প্রথমে আটা তৈরি করা হয়। সেই আটা দিয়েই রুটি হয়। হাতেই রুটি গোল করা হয়। এই রুটির বিশেষত্ব এটাই। বাজারে চাহিদাও ভাল রয়েছে।
সাধারণ গমের আটার রুটির থেকে এই রুটি অনেক মোটা। তাই একটি বা দুটির খেলেই পেট ভরে যায়। সেঁক দেওয়া রুটির সঙ্গে ধনেপাতা চাটনি বা বেগুন পোড়া সাধারণ দেওয়া হয়। এই ভাবেই এই রুটি খাওয়ার চল রয়েছে। বহু মানুষ এই রুটি এখন খাচ্ছেন। খেতে যেমন সুস্বাদু সঙ্গে কোনও ক্ষতি নেই। কারণ উনুনে সেঁক দিয়ে তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিম সেদ্ধ করার সময় ফেটে যায়? খোসা ছাড়াতে হিমশিম! সমাধানের সহজ টিপস
কলাই-এর সঙ্গে চাল একত্রিত করে আটা তৈরি করা হয়। সেই আটা জল দিয়ে দলা তৈরি করা হয় সাধারণ রুটির তৈরির মতো। তবে বেলনায় রুটি তৈরি করা হয় না। মহিলারা আটার দলা হাতে নিয়ে থাপড়ে থাপড়ে গোল রুটি তৈরি করেন। যদিও সকলে হাতে তৈরি করতে পারেন না। কারিগরেরা জানান, হাতের তৈরি রুটির টেস্ট বেশি হয়। তাই তাঁরা হাতেই তৈরি করেন। বিক্রেতা বাসন্তী সাহা বলেন, শীতের সময় বেশি বিক্রি হয়। এই রুটির সঙ্গে ধনের পাতার চাটনি, বেগুন পোড়া, সরিষা বাটা এই সমস্ত কিছু দেওয়া হয়।
মালদহ শহরে বাজারে ২০ টাকা পিস করে বিক্রি হয় একটি রুটি। এক সময় গ্রামীণ এলাকার সাধারণ মানুষের মূলত শহরে বিভিন্ন কাজে এসে এই রুটি কিনে খেতেন। তবে বর্তমানে শহরের অনেকেই নিয়মিত এই রুটি খাচ্ছেন। বছরের অন্যান্য সময়ে বিক্রি কম হলেও শীতের মরশুমে চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। শুধুমাত্র মালদহ শহর নয়, জেলার বিভিন্ন ব্লকেও এখন বাজার গুলিতে কলাইয়ের রুটি বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে দেশি-বিদেশি হরেকরকম আধুনিক খাবার ছেয়ে গিয়েছে। চাইনিজ খাবার থেকে দক্ষিণী খাবারের চাহিদা বাড়ছে বর্তমান প্রজন্মের কাছে। তবে পিছিয়ে নেই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার। বাংলার খাবারও এখন বিক্রি হচ্ছে গ্রাম থেকে শহরে। ঝাঁ চকচকে রেস্টুরেন্টে বিক্রি না হলেও ফুটপাতে দেদার বিক্রি হচ্ছে বাংলার কলাইয়ের রুটি।
হরষিত সিংহ
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F