হ্যাঁ, শিশুর জন্য নিরাপদ: চিকিৎসকরা বলছেন, গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক সঙ্গম করা যেতেই পারে। এতে অনাগত শিশুর কোনও ক্ষতি হবে না। কারণ গর্ভের শিশু তলপেট এবং জরায়ুর শক্ত পেশি দ্বারা সুরক্ষিত থাকে। সঙ্গে তাকে ঘিরে থাকে অ্যামনিওটিক থলির তরল। প্রকৃতপক্ষে নির্ধারিত তারিখ এসে গেলে চিকিৎসকরা সঙ্গমের পরামর্শ দেন। এর কারণ হল শুক্রাণু প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামক হরমোনে সমৃদ্ধ, যা জরায়ুকে সংকোচন করতে উদ্দীপিত করতে পারে। তবে যদি প্রিটার্ম প্রসবের চিকিৎসা চলে কিংবা তাড়াতাড়ি প্রসবের ঝুঁকি থাকে তাহলে যৌনতা এড়ানো উচিত। কারণ এর ফলে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনগুলিতে অবাঞ্ছিত সংকোচন ঘটতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রতর রাইস মিলে ঢুকেই অবাক সিবিআই! যা মিলল, চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের
গর্ভাবস্থায় যৌনতার ইচ্ছে: গর্ভাবস্থায় মহিলাদের যৌন ইচ্ছে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়।
প্রথম ত্রৈমাসিক – সকালের অসুস্থতা, ক্লান্তি এবং স্তনের কোমলতার কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে যৌন ইচ্ছে থাকে না বললেই চলে।
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক – এই সময় ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। ফলে কামোদ্দীপনা বাড়ে। এই সময় মহিলারা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি যৌনতা উপভোগ করেন। এই সময় সারা শরীর জুড়ে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ফলে যৌন উত্তেজনাও বাড়ে।
তৃতীয় ত্রৈমাসিক – নির্ধারিত তারিখ কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে যৌনতার ইচ্ছে ফের গায়েব হয়ে যেতে থাকে।
তবে এই নিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করাই ভাল। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
গর্ভাবস্থায় সহবাস কখন এড়াতে হবে: আগেই বলা হয়েছে, অকাল প্রসবের ঝুঁকি থাকলে গর্ভাবস্থায় সঙ্গম এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় সহবাসের সময় যদি কোনও অস্বাভাবিক ব্যথা হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করতে হবে। দেখিয়ে নিতে হবে প্রসূতি বিশেষজ্ঞকে।
আরও পড়ুন: ‘দলের মধ্যেই বিভীষণ আছে’, অনুপম হাজরার নিশানায় দলেরই নেতারা! বঙ্গ বিজেপিতে তোলপাড়
প্ল্যাসেন্টা প্রিভিয়া থাকলেও যৌনতা থেকে বিরত থাকতে হবে। এটা এমন একটা অবস্থা যেখানে প্ল্যাসেন্টা জরায়ুকে ঢেকে রাখে। তাই সঙ্গম করলে রক্তপাত হতে পারে।
অন্য কোনও কারণেও যদি সহবাসের পর রক্তপাত হয় তাহলেও যৌনতা এড়িয়ে যেতে হবে। দেখিয়ে নিতে হবে প্রসূতি বা স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞকে। যদি সঙ্গীর শরীরে এসটিআই থাকে তাহলেও যৌনতা থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ শিশুর শরীরেও সেই ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে পারে।