স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কিশমিশকে “সুপারফুড” বলে মনে করেন। তারা বিশ্বাস করেন যে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিশমিশ খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়, হজমশক্তি উন্নত হয় এবং রক্তাল্পতা নিরাময় করা যায়। ইউএস ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, কিশমিশে চিনি থাকে, তবে এটি ধীরে ধীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়, তাই সীমিত পরিমাণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি নিরাপদ হতে পারে।
advertisement
আয়ুর্বেদচার্য প্রমোদ তিওয়ারির মতে, কিশমিশে আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভালো পরিমাণে পাওয়া যায়। যদি এগুলো সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয় এবং সকালে খালি পেটে খাওয়া হয়, তাহলে এটি পরিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করে এবং পেটও পরিষ্কার রাখে।
আয়ুর্বেদের মতে, কিশমিশ আয়রনের একটি চমৎকার উৎস, যা শরীরের রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। এটি মহিলাদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। ঋতুস্রাবের সময় আয়রনের ঘাটতি বা অন্যান্য সমস্যার সম্মুখীন মহিলাদের জন্যও কিশমিশ খাওয়া উপকারী।
আরও পড়ুন : রাতে ঘুমনোর আগে ১ চামচ এই গুঁড়ো! লিভার-কিডনি নোংরামুক্ত! রক্ত শোধন! সকালে পেটও সাফ গলগলিয়ে
আয়ুর্বেদচার্য বলেন, প্রতিদিন ১০-১২টি কিশমিশ খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ক্লান্তি ও দুর্বলতার মতো সমস্যা কমে। কিশমিশে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থও থাকে, যা হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সহায়ক। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তচাপকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
কিশমিশে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল রাখে। এটি বলিরেখা, দাগ এবং দাগ কমায়। এছাড়াও, কিসমিসে উপস্থিত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং জিঙ্ক চুল মজবুত করে এবং চুল পড়া কমায়। কিশমিশে থাকা ক্যালসিয়াম এবং বোরনের মতো উপাদান হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।