এই জায়গা কারোরই অজানা নয়। এই জায়গাটি হল দার্জিলিংয়ের সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের অংশ পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সান্দাকফু। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেকটা উচ্চতায় অবস্থিত হওয়ায় আবহাওয়ার পরিবর্তন হতেই থাকে। তবে মায়াবী জায়গার অপরূপ সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে হলে কোন সময়টি আপনার জন্য সেরা সময় এক কথায় বলতে গেলে গোল্ডেন টাইম জানেন? না জানলে হাতের নাগালে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে পেতে হলে জেনে রাখুন সন্দাকফু ভ্রমণের জন্য সেরা সময় হল বসন্তের মার্চ থেকে মে।এই সময়কালে আবহাওয়া মনোরম থাকে, আকাশ পরিষ্কার থাকে এবং হিমালয়ের সমস্ত চূড়া যেন চোখের সামনে ভাসতে থাকে। মায়াবী অর্কিড থেকে রডোনড্রন এ যেন আলাদা এই এক নেশা।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
সবুজের সমারোহে দাঁড়িয়ে দু’চোখ ভরে হাতের নাগালে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখতে পাওয়ার যে আনন্দ তা যেন নিমিষেই আপনার মনের সমস্ত ক্লান্তি চিন্তা দুঃখ কষ্ট দূর করে দেবে। সারা বছরই সান্দাকফু যাওয়া গেলেও বছরের সব সময় কিন্তু কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং এভারেস্টের দেখা মিলবে না। এই দুই হিমালয়ের চূড়াকে একসাথে পেতে হলে এপ্রিল মাস আপনার জন্য সেরা সময়। একদিকে বসন্ত অন্যদিকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নীল ঝকঝকে আকাশ তার মাঝেই চোখের সামনে আপনাকে দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরবে বরফে ঢাকা এক একটি পাহাড়ের চূড়া।
গরমে যখন সবাই হাঁসফাঁস করছে সেই সময় দাঁড়িয়েও পাহাড়ের অধিক উচ্চতায় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আবার সন্ধ্যা হতেই তা ধপ করে নেমে ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে চলে আসে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এভারেস্ট তো বটেই এই ট্রিপের আরও একটি আকর্ষণ হল বসন্তের ছোঁয়ায় লাল সাদা গোলাপি রং এর মায়াবী রডোডেনড্রন। আর এই সবকিছুর মজা যদি একসাথে নিতে হয় তাহলে চটজলদি ব্যাকপ্যাক করে ঘুরে আসুন পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সান্দাকফু থেকে।
সুজয় ঘোষ





