মন্দিরে পুজো দিতে আসা এক পর্যটক রামসুরত রবিদাস জানান, “এই মন্দিরে পুজো দিতে এবং ভোগ নিবেদন করতে সামান্য কিছু মূল্য প্রদান করতে হয়। এছাড়া এখানে দুপুরের মধ্যে দেবতাদের ভোগ নিবেদন করা সম্পন্ন করে প্রসাদ বিতরন সম্পন্ন করা হয় ভক্তদের মধ্যে। সন্ধ্যার সময় এই মন্দিরে কোন পুজো করা হয় না। ভোগ নিবেদন সম্পন্ন হয়ে গেলে মন্দিরের দেবতাদের মূর্তি ঢেকে দেওয়া হয়।” মন্দিরের আরেক ভক্ত লক্ষ্মী দাস জানান, “এই মন্দিরের নিয়ম এবং রীতিনীতি অন্য বাকি সব মন্দিরের চাইতে একদম আলাদা। পরিবারের সঙ্গে ছুটির দিনে প্রায়শই তিনি ঘুরতে আসতে এই কামতেশ্বরী মন্দিরে। এছাড়া এখানে এলে অনেকটাই শান্তি অনুভব হয়।”
advertisement
এই মন্দিরের পুরোহিত রাজকুমার ঠাকুর জানান, “খেন এবং কোচ রাজবংশ উভয়েই কামতেশ্বরী দেবীর উপাসক ছিলেন। বর্তমান মন্দিরটি কোচবিহার রাজ্যের মহারাজা প্রাণ নারায়ণ ১৬৬৫ সালে সংস্কার করেছিলেন। কামতেশ্বরী মন্দিরের অভ্যন্তরে দুটি শিব লিঙ্গ, একটি ব্রহ্মার মূর্তি, একটি শালগ্রাম বা নারায়ণ শিলা, অষ্টধাতু (আটটি ধাতুর মিশ্রণ) দিয়ে তৈরি একটি গোপাল মূর্তি এবং সূর্য দেবের একটি ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি মূর্তি রয়েছে। মন্দিরের পেছনের দুই কোনে দুটি শিবলিঙ্গ স্থাপিত রয়েছে।”
দীর্ঘ সময় ধরে এই মন্দিরে বিশেষ বিশেষ কিছু তিথিতে পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। সেই সময় যেমনি ভক্তদের ও পর্যটকদের ভিড় দেখতে পাওয়া যায়। তেমনি শীতের মরসুমের শুরু থেকেই এই মন্দিরের মধ্যে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে শুরু করে। দীর্ঘ সময় ধরে এই মন্দির পর্যটকদের মধ্যে অনেকটাই জনপ্রিয় এক প্রাচীন মন্দির। জেলার পর্যটন ও আধ্যাত্মিকতার এক অদ্ভুত মেলবন্ধন গোসানিমারী এলাকার এই কামতেশ্বরী মন্দির।
Sarthak Pandit





