একেবারে অফবিট এই পর্যটন কেন্দ্র। লাভা পেরিয়ে যেতে হয়। সেই কারণে বলতে গেলে একটু উঁচুতেই এই গ্রামের অবস্থান। এনজেপি স্টেশন থেকে লাভা যাওয়ার অনেক গাড়িই এখান থেকে পাওয়া যায়। গাড়ি রিজার্ভ করে নিতে পারেন আবার শেয়ার গাড়িতেও যাওয়া যায় লাভা পর্যন্ত পৌঁছে সেখান থেকে আবার গাড়ি করে পৌঁছতে হবে লুংচু।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অ্যাডভেঞ্চারে ঠাসা শিলিগুড়ির কাছেই এই জায়গা, ভালবাসার মানুষকে নিয়ে ঘুরে আসুন, রইল ঠিকানা
লুংচুর সৌন্দর্য দার্জিলিংয়ের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। এই লুংচু থেকে রিশপ, সিকিমের পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। তারসঙ্গে কাঞ্চজঙ্ঘা তো রয়েইছে। এখান থেকে ছাঙ্গে ওয়াটার ফল দেখা যায়। অসাধারণ সেই জায়গাটি। এখানে এলে মনটা শান্ত হয়ে যাবে। প্রবল বেগে জলধারা পড়ছে পাথরের উপর। ঝরনার জলে নিচে একটি ছোট্ট হ্রদ তৈরি হয়েছে। সেখানকার জল অত্যন্ত স্বচ্ছ।
লাভা নেওড়াভ্যালি ফরেস্ট এলাকার মধ্যে পড়ে। সেকারণে এই লুংচুং থেকেও ন্যাওড়াভ্যালি ফরেস্ট দেখতে পারেন। তার জন্য আবার লাভার ট্যাক্সিস্ট্যান্ড থেকে সাফারির গাড়ি ভাড়া করতে হবে এবং বন দফতরের পারমিট করাতে হবে। সেসব অবশ্য গাড়ির চালকরাই করিয়ে দেন। অসম্ভব সুন্দর সেই জায়গাটি। নেওড়াভ্যালি ফরেস্টের বেশ সুখ্যাতি রয়েছে। এই জঙ্গলে রেড পান্ডা দেখতে পাওয়া যায়।
যাঁরা একটু নিরিবিলিতে থাকতে চান তাঁদের জন্য এই জায়গাটি সেরা। সেকারণে আর চিন্তাভাবনা না করে বেরিয়ে পড়ুন। ঘুরে আসুন এই অচেনা লোকেশনে। একেবারে নিরিবিলিতে কাঞ্জনজঙ্ঘা উপভোগ করতে পারবেন তার সঙ্গে যেতে পারবেন অনেক জায়গায়। ভিড় ঠেলে দার্জিলিংয়ের ম্যালে ঘুরতে হবে না আপনাকে।
অনির্বাণ রায়





