সে বছর গ্রামবাসীরা বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে কালীপুজোর এক সপ্তাহ পরে, অকালে মা কালীর আরাধনা করেন। গ্রামের মাঝখানে উঁচু জায়গায় ছোট একটি মণ্ডপে পুজোর আয়োজন করা হয়। সেই থেকেই প্রতি বছর অকালেই কালীপুজার আয়োজন করে গ্রামবাসীরা।
প্রায় তিন দশক ধরে এখনও গ্রামের মাঝখানে এই পুজোর আয়োজন করা হয়। এখন এই পুজো গ্রামবাসীদের কাছে ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর ধুমধাম করে পুজোর আয়োজন করা হয়। সুদৃশ্য মণ্ডপ, চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা আর অনন্য সুন্দরী প্রতিমা। পুজোরে আয়োজনে শামিল হন এলাকার বিধায়ক থেকে শুরু করে জন প্রতিনিধিরা।
advertisement
প্রতিবছরের মতো এবছরও এই গ্রামে অকাল-কালীপুজো ঘিরে পাঁচ দিনের মেলা বসেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুজোর পাশাপাশি রয়েছে বস্ত্রদান, রক্তদান শিবির থেকে শুরু একাধিক সামাজিক কর্মসূচি
আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম প্রণব কর বলেন, “পুরুষোত্তমপুর গ্রাম ১৯৯৫ সালে প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। গ্রামের মানুষরা বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে কালীপুজোর এক সপ্তাহ পর অকালেই মা কালীর আরাধনা করেন। সেই শুরু। এখনও সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। এবারও পাঁচ দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়েছে, প্রতিদিন সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।”





