শনিবার রাতে কুমোরটুলি থেকে মশাল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে ক্লাবের উদ্যোক্তারা মায়ের প্রতিমা নিয়ে আসেন শিলিগুড়ির মণ্ডপে। শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী বামা কালীর আদলে তৈরি ছ’ফুটের প্রতিমা মিছিলের মধ্য দিয়ে শহর পরিক্রমা করে পৌঁছায় তরুণ অ্যাথলেটিক ক্লাবের মণ্ডপে। প্রায় ২০০ জন উদ্যোক্তা অংশ নেন সেই মশাল মিছিলে।
রাত প্রায় দশটা নাগাদ মিছিল পৌঁছায় শিলিগুড়ির সফদর হাশমি চকে। সেখানেই শুরু হয় মূল আকর্ষণ — শান্তিপুরের ধাঁচে মাকে কাঁধে তুলে ‘বামা কালী নাচ’। ঢাক-ঢোলের তালে, আগুনের মশালের আলোয় মায়ের প্রতিমাকে নাচিয়ে তোলেন ভক্তরা। মুহূর্তের মধ্যেই হাজারো মানুষের ভিড় জমে যায় চত্বর জুড়ে।
advertisement
ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর তরুণ অ্যাথলেটিক ক্লাবের পূজো ৬২ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। মণ্ডপের বিশেষ আকর্ষণ প্রায় ৪০ ফুট উঁচু বামা কালীর প্রতিমা, যা শিলিগুড়ির পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম বড় আকর্ষণ। উদ্যোক্তাদের দাবি, প্রথমবারের মতো বামা কালী রূপে পুজো করার কারণেই শান্তিপুরের আদল বেছে নেওয়া হয়েছে।
উদ্যোক্তাদের এক সদস্য জানান, ” শান্তিপুরের বামা কালী শুধু পুজো নয়, এক ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্য এবার শিলিগুড়ির মাটিতে তুলে ধরতে পেরে আমরা গর্বিত।” শহরবাসীরা জানায়, ” শিলিগুড়ির কালীপুজোর আবহে এমন বামা কালী নাচ আগে কখনও দেখা যায়নি।” শহরের রাত্রি আলোয়, মশালের ঝলক আর ঢাকের তালে মাতোয়ারা শিলিগুড়ি— যেন এক টুকরো শান্তিপুর এসে পড়েছে পাহাড় ঘেরা এই শহরে।