ওই মহিলার ব্যাগ ভর্তি ছিল ঝুটো গয়নায় ৷ তার মধ্যেই একটি পাথর আসলে ৩৪ ক্যারাটের হিরে! শোনা যাচ্ছে, এর দাম হতে পারে ২ মিলিয়ন পাউন্ড!ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এই ঘটনার কথা শেয়ার করেছে নিলামসংস্থা৷ হিরের ছবি পোস্ট করে তাঁরা বিবরণ দিয়েছেন পুরো ঘটনার৷ আয়তনে ১ পাউন্ড মুদ্রার থেকেও বড় ওই হিরে৷
আরও পড়ুন : পুলিশ আধিকারিক বাবার পথে পা রেখে মেয়েও একই পেশায়, দু’জনে মুখোমুখি অভিবাদন-পর্বে
advertisement
নিলামঘরও প্রথমে ভেবেছিল ওই পাথর আসলে কিউবিক জিরকোনিয়া৷ যা নাকি দেখতে নকল হিরের মতো৷ গুরুত্বহীন ভেবে অবহেলায় ওই আংটি রাখা ছিল ডিরেক্টরের অফিসে৷ কিন্তু পাথরটিকে দেখে সন্দেহ হয় এক কর্মীর৷ তাঁর কথাতেই বিশেষজ্ঞকে দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়৷ তার পর জানা যায়, আংটির পাথর আসলে প্রকৃত হিরে! নিলমাঘরের তরফে সেটি পাঠানো হয় লন্ডন ও বেলজিয়ামে৷ জানা যায়, ওই পাথর আসলে ৩৪ ক্যারাটের অমূল্য হিরে৷
আরও পড়ুন : ধনতেরসে গয়না কিনবেন? দেখে নিন কোনটা আপনার পছন্দ
হিরে মালকিনের নাম এখনও প্রকাশ্যে আসেনি৷ তিনি চান, তাঁর নাম ও পরিচয় গোপনই থাকুক৷ আগামী ৩০ নভেম্বর নিলাম করা হবে ওই হীরকখণ্ডের৷ নিলামসংস্থার প্রতিনিধি মার্ক লেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন হিরেটি ওই মহিলা কোথা থেকে পেয়েছেন, তিনি মনে করে বলতে পারেননি৷ জানিয়েছেন এ প্রসঙ্গে তাঁর স্মৃতি সম্পূর্ণ মুছে গিয়েছে৷ বাকি জাঙ্ক জুয়েলারির সঙ্গে ওই হিরের আংটিও নাকি তিনি ডাস্টবিনেই ফেলে দিতে যাচ্ছিলেন৷ এক প্রতিবেশীর পরামর্শে শেষে তিনি পাথরগুলি নিয়ে আসেন নিলামঘরে৷ তার পরই জানা যায় আসল রহস্য ৷
আরও পড়ুন : গয়না ছাড়া আর কোন কোন জিনিস কিনতে পারেন ধনত্রয়োদশীতে
নিলামসংস্থার পক্ষে মার্ক লেন জানিয়েছেন তিনি গত ৫ বছর ধরে এই সংস্থা পরিচালনা করছেন৷ এখনও অবধি তিনি যা যা জিনিস নিলামের দরদামে তুলেছেন, তার মধ্যে এই হিরেই সর্বোচ্চ মূল্যের৷ সংস্থা ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, হিরের আংটির দাম নিলামে সর্বোচ্চ উঠতে পারে ২০ মিলিয়ন পাউন্ড৷ ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২০ কোটি টাকারও বেশি৷