গত কয়েক বছর ধরেই এই মোয়ার ব্যবসায় ভাটার টান। এর মূল কারণ উৎকৃষ্ট পরিমাণ নলেন গুড়ের অভাব। অপ্রতুল গুড়ের কারণেই আগের মতো স্বাদ-গন্ধ আর মেলে না জয়নগরের মোয়ায়। মোয়া তৈরির ক্ষেত্রে অন্যতম মূল উপাদান হল নলেন গুড় । নলেন গুড় পাওয়া যায় খেজুরের রস থেকে। শীতের মরশুমে খেজুরের রস ফুটিয়ে নলেন গুড় তৈরি করা হয়।
advertisement
আর এখন সবেমাত্র হালকা ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছেন শিউলিরা। একে জয়নগর বিস্তীর্ণ এলাকার খেজুর গাছগুলি কাটতে শুরু করেছে। এর পর সেই খেজুর গাছে হাঁড়ি ঝুলিয়ে তা থেকে যে রস উৎপন্ন হবে। তা জ্বাল দিয়ে নলেন গুড় তৈরি হবে। আর সেগুলি এলাকার বিভিন্ন মোয়া ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি দরে বিক্রয় করবে। আর এখনও পুরোপুরি ভাবে গুড় তৈরি হয়নি।
তাহলেও জয়নগর থেকে বহরু এলাকার রাস্তার দুই ধারে বিভিন্ন ধরনের মোয়া দোকানগুলি সেজে উঠেছে। এবং সেখানে তৈরি ও হচ্ছে জয়নগরের মোয়া। এখন কিছু ব্যবসায়ী আগেভাগে ক্রেতা ধরার জন্য এবং ভাল ব্যবসা করার লোভে স্থানীয় নলেন গুড়ের বদলে জেলার বাইরে থেকে এনে অন্য গুড় ও চিনি আর রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি নকল নলেন গুড়ে মোয়া তৈরি হচ্ছে।আর এর প্রভাব পড়েছে আসল মোয়া তৈরিতে।
আরও পড়ুন : দেখতে যেন লবঙ্গ বা শিশুদের খেলার ঝুনঝুনি! এই ফুলেই কমবে ওজন ও ব্লাড সুগার
আর এভাবে খেজুরের রসের যোগান হওয়ার আগে মোয়া তৈরি হলে এই ব্যবসারও বিস্তর ক্ষতি হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছেন জয়নগরের এক মোয়া ব্যবসায়ী। তবে আসল মোয়া পেতে আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে, ধারণা অভিজ্ঞ ভোজনরসিকদের।