বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই মেলা। ২৮ ডিসেম্বর থেকে ১জানুয়ারি, টানা পাঁচদিন ব্যাপী চলবে এই উৎসব। এই মেলা এ বছর ১৮ তম বর্ষে পদার্পণ করল।এ বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাপতি সৌমেন বেলথড়িয়া বলেন, ‘‘ জয়চণ্ডী পাহাড় উৎসবকে ঘিরে বরাবরই মানুষের আবেগ উচ্ছ্বাস অনেকটাই বেশি থাকে। মানুষের মধ্যে সেই আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বহু মানুষ ভিড় জমান এখানে। নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় এই পাঁচটা দিনে। এছাড়াও এখানে মানুষ আসেন খুঁজে পেতে সত্যজিত রায়ের ‘হীরক রাজার দেশ’-কে।এখানেই এক সময় শ্যুটিং হয়েছিল হীরক রাজার দেশ চলচ্চিত্রের দু’টি বিশেষ দৃশ্যের। এই লোকেশনেই দেখানো হয়েছিল উদয়ন পণ্ডিতের লুকিয়ে থাকার পাহাড়ি গুহা। তার কাছেই হীরক রাজ্য ছেড়ে আসা পাঠশালার পণ্ডিতের সঙ্গে দেখা হয়েছিল গুপী ও বাঘার। তারা সে সময় নানা দেশ ঘুরতে ঘুরতে চলে এসেছিল সেখানে। সিনেমায় দেখা গিয়েছে এর পর গুপীবাঘার সাহায্যেই হীরকরাজকে সিংহাসনচ্যুত করে উদয়ন পণ্ডিত। এই সিনেমা এবং তার শ্যুটিং লোকেশন সব সময়ই বাঙালির কাছে খুব স্পেশাল।
advertisement
অন্যান্য বছরের তুলনায় এ-বছর মেলা নিয়ে মহকুমা প্রশাসন ও উৎসব কমিটি অনেকটাই বেশি উৎসাহী। এই উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে বহু পর্যটক দূর দূরান্ত থেকে জয়চণ্ডী পাহাড়ে আসেন এই মেলায়। সমস্ত রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রশাসন ও মেলা কমিটির পক্ষ থেকে সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে প্রতি বছর বছরের শেষ দিনগুলোতে পর্যটকদের ভিড় থাকে ।
আরও পড়ুন : প্রেমের দুনিয়ায় এ বছর উঠে এল কোন কোন নতুন শব্দ? আসুন, ফিরে দেখি ২০২৪ শুরুর আগেই
এ বিষয়ে মেলায় আসা দর্শকেরা বলেন , জয়চণ্ডী পাহাড়ের এই মেলা বহু পুরনো। এই মেলাতেই ঘিরে নানা উৎসব হয়ে থাকে। খুবই ভাল আয়োজন হয়েছে। আগামী দিনে যেন আরও ভাল কিছু হয় এই মেলায়, সেটাই তাঁদের চাওয়া।