আগে গাড়রাসিনি পাহাড়ে থাকা ব্রহ্মর্ষি আচার্য সত্যানন্দ সন্ন্যাস আশ্রমে কয়েক বছর আগে দুর্গাপুজো হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে সেখানে শুধুমাত্র ঘটের উপরেই পুজো হয়। মহালয়ার দিন থেকে দশমী পর্যন্ত যজ্ঞানুষ্ঠান হয়। পুজোর দিনগুলিতে এখানে ভিড় হয় আসেন পর্যটকেরাও। পাহাড়ের উপরে চূড়া থেকে সবুজে ভরা বেলপাহাড়ি-ঝাড়গ্রামকে দেখতে পাবেন। পরপর পাহাড়। মনে হবে আপনি যেন উত্তরের কোনও রাজ্যে এসে পৌঁছেছেন। আর ঘন জঙ্গলের মাঝে ছোট ছোট গ্রামের ছবি ফুটে উঠে। যেখানে পরিযায়ী পাখিদের সারি সারি ঝাঁকে একসঙ্গে উড়ে যাওয়ার অপূর্ব দৃশ্য। পর্যটকেরা শাল জঙ্গলের শান্ত পরিবেশে রাত্রিযাপনের পাশাপাশি সকাল সকাল পাহাড়ে উঠার আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।
advertisement
কেবলমাত্র পাহাড়ের সৌন্দর্যই নয়, ময়ূরও এখানকার অন্যতম আকর্ষণ।
গাড়রাসিনি থেকে কয়েক’শ মিটার জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে গেলেই একেবারে যাওয়া যায় চাতন ডুংরির পাহাড়ের চূড়ায়। পাহাড়ের দক্ষিণ ও পশ্চিমের প্রাকৃতিক দৃশ্য এক কথায় অনবদ্য। পাহাড়ের মধ্যে রোদ-ছায়ার লুকোচুরি দেখতে পাবেন। বিকেলে পশ্চিম দিকের পাহাড়ের কোলে সূর্যাস্ত আপনাকে মুগ্ধ করবেই। বেলপাহাড়ি থেকে কাঁকড়াঝোড় যাওয়ার রাস্তা দিয়ে মাত্র ৪ কিমি গেলেই দেখতে পাবেন লাট্টু পাহাড়। এই পাহাড়ের মাথা একটু সমতল হওয়ায় অ্যাডভেঞ্চার পর্যটকরা এখানে তাঁবু খাটিয়ে রাত্রি যাপনও করতে পারবেন, যদিও তা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষ।
বাঙালির একটা অংশ পুজোর সময় অথবা শীতের দিকে বেলপাহাড়ি বেড়াতে আসেন। লালমাটির দেশে দু\’পাশের শাল জঙ্গলের মাঝে কেবল সবুজ আর সবুজ, পাহাড়, টিলা, ক্রমাগত ঝিঁ-ঝিঁর ডাক, আবার অচেনা পাখির কলতান, আকাশ যেন মিশে গিয়েছে সবুজ পাহাড়ের সঙ্গে।
প্রকৃতি তার এক অপরূপ সম্ভার যেন সাজিয়ে রেখেছে। পাহাড় জঙ্গল ঝর্নার টানে প্রচুর পর্যটক এখন বেলপাহাড়িতে আসছেন। যার ফলে প্রতিনিয়তই উন্নতি হয়েছে পর্যটন শিল্পের।