নাম মিশেল ডেভস৷ বয়স ৫২৷ নিউজিল্যান্ডের একটি সংস্থার অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার৷ ২০২২ সালের এপ্রিলের দিকে নিজের নাকের ঠিক সামনের দিকে একটি ব্রণ দেখতে পান মিশেল৷ সাধ্যমতো ব্রণ নিধনের ঘরোয়া চেষ্টাও করেন আর পাঁচজন মহিলার মতো৷ কিন্তু, লাভ হয় না কিছুতেই৷
advertisement
এক সময় ঠিক করেন, ব্রণ যখন কমছেই না, তখন, কনসিলার দিয়ে তা বরং ঢেকে চলাই ভাল৷ তবে ব্রণ হয় সাধারণত কমবয়সি মেয়েদের ক্ষেত্রে৷ মিশল ভাবেন, ৫২ বছর বয়সে এসে, তাঁর হঠাৎ ব্রণ হচ্ছে কেন? তারপরে নিজেই নিজেকে বোঝাতে থাকেন, সামান্য ব্যাপার, নিশ্চই দু-একদিনের মধ্যে কমে যাবে৷
কিন্তু, দিনে দিনে বাড়তে থাকে ব্রণর ব্যথা৷ ব্রণ আরও লাল হয়ে উঠতে থাকে। একদিন রাগের চোটে চিপে ফাটিয়েই দেন ব্রণটাকে৷ ওমনি গল গল করে বেরতে শুরু করে রক্ত৷
মিশেল জানাচ্ছেন, সে যে কত রক্ত তা বলে বোঝানোর নয়, ভয়ঙ্কর দৃশ্য, কিছুতেই রক্ত বন্ধ করা যাচ্ছিল না৷ বাধ্য হয়ে এত দিন পরে তিনি ছুটলেন চিকিৎসকের কাছে৷
কিন্তু চিকিৎসক যা জানালেন, তা তো মিশেল দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি৷ মিশেলের শরীরে দানা বেঁধেছিল মারণ ক্যানসার৷ বেসাল সেল কারসিনোমা নামক মারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি৷ সবটাই নিজের অজান্তে৷
আরও পড়ুন: বিরিয়ানি কিনতে এসে ভয়ঙ্কর পরিণতি! দোকানের সামনেই রক্তগঙ্গা, শিবপুরের ঘটনায় এবার রায়
বর্তমানে, তাঁর নাকে অস্ত্রোপচার করে ক্যানসারের অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে৷ নাক অদ্ভুক দেখতে হয়ে গেলেও আপাতত সুস্থ তিনি৷ তবে, স্কিন ক্যানসার ফিরে আসার সম্ভাবনাও রয়েছে পুরোদস্তুর৷ আপাতত, চিকিৎসকদের কড়া নজরদারিতে রয়েছেন মিশেল৷
এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি একটা কথাই বলতে চান সকলকে৷ কোনও ছোটখাট জিনিসই কখনও অবহেলা করবেন না৷ কোথা থেকে কী হয়, আমরা কিছুই জানি না৷