হোম /খবর /কলকাতা /
বিরিয়ানি কিনতে এসে ভয়ঙ্কর পরিণতি! দোকানের সামনেই রক্তগঙ্গা.. তারপর

Howrah: বিরিয়ানি কিনতে এসে ভয়ঙ্কর পরিণতি! দোকানের সামনেই রক্তগঙ্গা, শিবপুরের ঘটনায় এবার রায়

এই ঘটনার পরে নিহত ইফতিকারের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় শিবপুর থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্ত মহম্মদ চাঁদকে হাতে পেতে শুরু হয় খোঁজ। অবশেষে, ঘটনার ২ দিন পরে ৬ অগাস্ট গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত চাঁগ।

আরও পড়ুন...
  • Local18
  • Last Updated :
  • Share this:

হাওড়া: খোশ মেজাজে বিরিয়ানি কিনতে গিয়েছিলেন, কে জানত, সেখানেই তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্যু৷ বন্ধুর গুলিতে রক্তাক্ত অবস্থায় সেই বিরিয়ানি দোকানের সামনেই লুটিয়ে পড়েছিলেন ইফতিকার আহমেদ৷ ৯ বছর আগে যে খুনের ঘটনা তোলপাড় করে দিয়েছিল হাওড়ার শিবপুর, গত সোমবার অবশেষে সেই ঘটনার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত৷

শিবপুরের পিএম বস্তি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ইফতিকার৷ বেশ কিছুদিন ধরেই নানা কারণে পুরনো বন্ধু মহম্মদ চাঁদের সঙ্গে শত্রুতা গড়ে উঠেছিল তাঁর৷ ৯ বছর আগের হাড়হিম করা ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল হাওড়ার শিবপুর অঞ্চল৷ খুনের ঘটনার দুদিন পর পুলিশের জালে ধরা পরে অভিযুক্ত সাহেব৷ সেই খুনের ঘটনার ৯ বছর পরে গত সোমবার সেই মামলায় সাজা ঘোষণা করল হাওড়া আদালতের বিচারক। এদিন হাওড়া জেলা আদালতের ১ নং ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক সন্দীপ চক্রবর্তী অভিযুক্ত মহম্মদ চাঁদ ওরফে সাহেব আলমকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। পাশাপাশি, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সাজাও হয় অভিযুক্তের।

আরও পড়ুন: দাড়িভিটে গুলিতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় NIA তদন্তের নির্দেশ, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পরিবারকেও, নির্দেশ আদালতের

একই সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালানোর অভিযোগে মহম্মদ চাঁদ ওরফে সাহেব আলমকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ৩ মাসের জেলের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। খুন ও অস্ত্র আইনের উভয় সাজাই একসঙ্গে চলবে বলেও নির্দেশ দেন বিচারক।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৪ সালের ৪ অগাস্ট প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ কর্মব্যস্ত শিবপুরের পিএম বস্তি এলাকার একটি বিরিয়ানির দোকানে বিরিয়ানি কিনতে এসেছিলেন ইফতিকার আহমেদ। বিরিয়ানি কেনার সময় সকলের সামনে আচমকা তাঁকে গুলি করে পালায় মহম্মদ চাঁদ। ঘটনার আশপাশে থাকা মানুষজন গুরুতর আহত ইফতিকারকে দ্রুত নিয়ে যায় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

আরও পড়ুন: বীরভূমে পা দিয়েই তারা মায়ের শরণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নিজের হাতে করলেন আরতি

এই ঘটনার পরে নিহত ইফতিকারের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় শিবপুর থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্ত মহম্মদ চাঁদকে হাতে পেতে শুরু হয় খোঁজ। অবশেষে, ঘটনার ২ দিন পরে ৬ অগাস্ট গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত চাঁগ।

চাঁদকে জেরা করে মৃত ইফতিকারের সঙ্গে পুরনো শত্রুতার কথা জানতে পারে পুলিশ। পরে ১৬ আগস্ট ১৪৮, জিটি রোডের একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের এক জায়গায় লুকিয়ে রাখা আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করে পুলিশ৷ এরপর থেকে চলে এই মামলা। শেষ ৭ বছর চাঁদকে জেলেই কাটাতে হয়েছে। এই মামলায় মোট ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত চাঁদকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা এবং অস্ত্র আইনের ২৫(এ)(২) ধারায় শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে।

Published by:Satabdi Adhikary
First published:

Tags: Biryani, Howrah